১৩০ জন তৃণমূল বিধায়ক যোগাযোগ রাখছেন বলে ‘গলাবাজি’ করেছিলেন মুকুল রায়। কিন্তু সে কথা মানলেন না খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই। শ্রীরামপুরের বিজেপি প্রার্থী দেবজিৎ সরকারের সমর্থনে প্রচার সভায় এসে মুকুলের বক্তব্য অস্বীকার করে মোদী বলেন, ‘জন তৃণমূল বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে’। যা শুনে ওয়াকিবহাল মহল বলছেন, মুকুলের ৪০ নম্বর কেটে নিলেন নরেন্দ্র মোদী।
মোদীর এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে একটি টুইটও করেছেন রাজ্যসভার দলনেতা ও প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন। মোদীকে ‘এক্সপায়ারি বাবু’ বলে কটাক্ষ করে টুইটে তিনি লেখেন, ‘কোনও তৃণমূল বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না৷ আপনি ভোটপ্রচারে নাকি ঘোড়া কেনাবেচা করতে এসেছিলেন?’ ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ তুলে তৃণমূল নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার চিন্তাভাবনা করছে বলেও জানান ডেরেক৷
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মুকুল রায়ের ওপর ভরসা রাখতে পারছেন না বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই মুকুলকে রাজ্য নির্বাচন কমিটির আহ্বায়ক করার পরেও তাঁর মাথার ওপর বসানো হয় কেন্দ্রের বিশেষ পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেননকে। এবার মুকুলের কথার বিরোধিতা করলেন খোদ মোদীই। তিনি সাফ জানিয়েছেন, ১৩০ জন বিধায়ক নয়, বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে ৪০ জন বিধায়ক। তবে সেটাও ভুয়ো বলে জানাচ্ছেন ওয়াকিবহাল মহল। তাঁদের মতে, বাংলায় গরু খোঁজার মতো করে প্রার্থী খুঁজেছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। প্রার্থী করতে তৃণমূলের ছাঁটাই নেতা-নেত্রীদের ওপরেই ভরসা রাখছেন তাঁরা। তাই দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা রাখতে যে যেমন পারছে একটা সংখ্যা বাজারে ছেড়ে দিচ্ছে। নিজেদের মধ্যে কোনও তালমিল নেই। মোদীর মন্তব্যে সেটাই স্পষ্ট হল। তাঁদের মতে, দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতেই তাই এমন মন্তব্য করেছেন মোদী।