প্রার্থীর হলফনামায় যশোদাবেনকে নিজের স্ত্রী বলে উল্লেখ করেছেন নরেন্দ্র মোদী। অথচ বৈবাহিক প্রমাণপত্র দাখিল না করতে পারায় পাসপোর্ট পর্যন্ত পাননি যশোদাবেন। মোদীর হলফনামা উল্লেখিত এই সম্পর্ক নিয়েই এবার সরব হয়েছে বিরোধীরা। তাঁদের প্রশ্ন, যে স্বামী নিজের স্ত্রী’র সঙ্গে একটা এফিডেভিট পর্যন্ত দিতে পারেন না, তিনি মহিলাদের অধিকার নিয়ে সরব হন কোন মুখে?
এই যশোদাবেনকেই একসময় আরটিআই করতে হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী হিসেবে তাঁর কী সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তা প্রাপ্য, তা জানতে চেয়ে। কিন্তু নিরাপত্তার বিষয়টি আরটিআই-এর আওতায় পড়ে না, তাই সেই তথ্যও তাঁকে জানানো হয়নি। আবার নিজের কোনও বৈবাহিক প্রমাণপত্র দাখিল না করতে পারায় পাসপোর্টও পাননি। গুজরাতের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সূত্রে খবর, ম্যারেজ সার্টিফিকেট না থাকলেও স্ত্রী ও স্বামীকে একসঙ্গে এফিডেভিট জমা দিতে হয়। কিন্তু যশোদাবেন তাঁর কোনও কিছুই দাখিল করতে পারেননি। তাই বাইরে তাঁর আত্মীয়দের কাছে যেতে চেয়েও পাসপোর্ট পাননি যশোদাবেন।
একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতাও প্রশ্নাতীত নয় বলে অভিযোগ বিরোধীদের। শুক্রবার বারাণসী কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে হলফনামা পেশ করেছেন নরেন্দ্র মোদী। আর সেই হলফনামা থেকে পাওয়া তথ্য থেকেই জানা যাচ্ছে, নরেন্দ্র মোদী ১৯৮৩ সালে গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি লাভ করেছেন, সেখানে কলা শাখায় বিএ ডিগ্রি পেয়েছেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, কিন্তু ১৯৭৮ সালে। আবার গুজরাত বোর্ডের অধীনে মোদী এসএসসি পাশ করেছেন সেই ১৯৬৭ সালে। আর সময়ের এই অসমাঞ্জস্য নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। আর ২০১৪ সালের হলফনামায় নিজের বিএ, এম ডিগ্রি নিয়ে কোনও উল্লেখ কেন করেননি মোদী, সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
এছাড়াও মোদীর পেশ করা হলফনামা থেকে জানা যাচ্ছে, গত পাঁচ বছরে একলাফে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৫২ শতাংশ। নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণা অনুযায়ী, এখন তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ২.৫১ কোটি। ২০১৯-এর ৩১ মার্চের হিসেবে তাঁর হাতে মোট নগদের পরিমাণ ৩৮,৭৫০ টাকা। ব্যাংকে গচ্ছিত রয়েছে ৪,১৪৩ টাকা। স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ায় ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে ১.২ কোটির।