শবরীমালা মন্দিরে নারীর প্রবেশাধিকার নেই। এমনকি প্রবেশাধিকারের নির্দেশ কার্যকর করা যায়নি আজও। তবে কেরালার যে নারীরা সেই নির্দেশ মেনে আইয়াপ্পাস্বামীর মন্দিরে প্রবেশ করেছিলেন বা প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিলেন এমন নারীদের আজও হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। ভোটের ডিউটি করতে গিয়েও রেহাই পাচ্ছেন না তাঁরা। শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন, এমন এক নারীর ভোটের ডিউটি পড়েছিল কেরালায়। বিন্দু থানকাম কল্যাণী। পেশায় স্কুল শিক্ষক বিন্দুর ভোটের ডিউটি পড়েছিল পাট্টাম্বির সংস্কৃত কলেজে। কোঝিকোড়ের বাসিন্দা বিন্দু হয়েছিলেন রিজার্ভ অফিসিয়াল, তাঁক কাজ ছিল পাট্টাম্বির ভোটের যাবতীয় উপকরণ বিতরণ করা।
সংস্কৃত বুথের কলেজে তিনি যখন ভোটের ডিউটি করছিলেন সেসময় কয়েকজন যুবক তাঁকে দেখে সন্দেহজনক আচরণ করতে শুরু করেণ। ভোটের জিনিস বিতরণ করে তিনি যখন বুথ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন সেসময় সেই যুবকরা তাঁর পথ আটকায় এবং জানতে চায় তিনিই কি শবরিমালা মন্দিরে প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিলেন? বিন্দু হ্যাঁ বলতেই তাঁকে অকথ্য ভাষায় কটূক্তি করতে শুরু করেন তাঁরা। একজন তো বলেই ফেলে মরে যাওনি কেন এতোদিন। এই ঘটনায় সোজা বুথের ভেতরে গিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে অভিযোগ জানান বিন্দু।