গঙ্গাসাগরের ভোল বদলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধারে ও ভারে প্রায় কুম্ভের সমান উচ্চতায় গঙ্গাসাগরকে তুলে নিয়ে যাওয়ার যাবতীয় কৃতিত্ব প্রাপ্য তৃণমূল নেত্রীর। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে গঙ্গাসাগরের আশ্রমের মোহন্তদের মুখে উঠে এসেছে এই কথাই। সোমবার পয়লা বৈশাখের সকালে গঙ্গাসাগরের সেই নয়া রুপের ভিডিওই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। ধরা পরেছে টুকরো টুকরো ছবি। আদিঅন্ত গঙ্গা, সংস্কার হওয়া কপিল মুনির আশ্রম, যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নতি, জেটি, ব্রিজ এসবই। ভাইরাল হওয়ার কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই লাইক, কমেন্টের বন্যা শুরু হয়। তুলনা শুরু হয় কুম্ভের সঙ্গে। বোঝা যায় সব ক্ষেত্রেই সমানে সমানে টক্কর নিচ্ছেন মমতা।
গঙ্গাসাগর মেলা, বহুদিন ধরে চলে আসা এক পুণ্যক্ষেত্র। এ এক এমন ক্ষেত্র যেখানে বহু দুর-দূরান্ত থেকে মানুষ গঙ্গায় স্নান করে পুণ্য অর্জন করতে আসেন। গঙ্গাসাগর মেলা হল পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণে সাগরদ্বীপের কপিল মুনির আশ্রমে আয়োজিত এক মেলা। মমতার উদ্যোগে গঙ্গাসাগর মেলা আগের তুলনায় অনেক সুসংগঠিত ভাবে, সুরক্ষিত ভাবে আয়োজিত হয়।
কপিল মুনির মন্দিরের এক মোহন্ত জানালেন, “সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর একবার। এই মেলার জন্যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক কিছু করেছেন। তাঁর জন্যেই এই মেলা আগের থেকে অনেক বেশি সুসংগঠিত ভাবে আয়োজিত হয়। শুধু এই মেলার জন্যে নয়, তিনি গোটা বাংলার জন্যেই অনেক কিছু করেছেন। আমরা তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাই”।
মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় এখানে সাধারণের জন্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বাঁধানো পাকা রাস্তা, আলোর ব্যবস্থা, জাহাজ, স্টিমারের মাধ্যমে লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা, নিশ্চিত সুরক্ষা ব্যবস্থা ইত্যাদি পদক্ষেপ করা হয়েছে। জনসমাগমের জন্যে মমতার এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ।