হাতে বাকি আর মাত্র ১১ দিন। তারপরেই দেশজুড়ে শুরু হবে লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই মোদী হঠাতে আসরে একজোট নেমে পড়েছে গোটা দেশের বিজেপির বিরোধী দলগুলি। ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই আরও সুর চড়াচ্ছে তারা। অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর বিশেষ আমন্ত্রণে আজ, রবিবারই যেমন বিশাখাপত্তনমে যাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে রয়েছে বিরোধীদের সমাবেশ। ফারুক আবদুল্লা থেকে শুরু করে এইচ ডি দেবগৌড়া, অরবিন্দ কেজরিওয়াল–সহ জাতীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন। নির্বাচন ঘোষণার পর এটিই প্রথম বিজেপি বিরোধী সমাবেশ। এই মঞ্চ থেকেই এবার সরাসরি মোদী বিদায়ের ডাক দেওয়া হবে।
বিশাখাপত্তনমে এখন প্রচণ্ড গরম। তাই সভা শুরু বিকেল ৫টায়। তবে গরম উপেক্ষা করে সকাল সকালই বিশাখাপত্তনম পাড়ি দিচ্ছেন মমতা। উল্লেখ্য, বিজেপি বিরোধী মহাজোটে প্রথম থেকেই মমতার পাশে থেকেছেন নাইডু। ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডের বিরোধী সমাবেশ ছাড়াও বেশ কয়েকবার কলকাতায় এসে তিনি মমতার সঙ্গে দেখা করেছেন। জোট শক্তিশালী করা নিয়েও বৈঠক হয়েছে। কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার এবং সিবিআইয়ের সঙ্ঘাতের সময় মমতার ধর্নাতেও এসেছিলেন নাইডু। আর এবার তাঁর অনুরোধেই সে রাজ্যে উড়ে যাচ্ছেন মমতা।
প্রসঙ্গত, বিশাখাপত্তনমে বেশ কয়েকদিন ধরেই সাজ–সাজ রব। নাইডুর তেলুগু দেশম পার্টির কর্মীরা প্রচার করছেন। মমতার নামে সেখানে সকাল-সন্ধ্যা স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। কাট আউটও লাগানো হয়েছে তাঁর। রয়েছে পতাকা, ফেস্টুন, ব্যানার। সঅবমিলিয়ে মমতাকে স্বাগত জানাতে তৈরি বিশাখাপত্তনম। জানা গেছে, সভার পরেও আলাদাভাবে নাইডুর সঙ্গে মমতার বৈঠক হওয়ার কথা। সভা থেকে মমতা কী বার্তা দেন, তা শোনার অপেক্ষায় অন্ধ্রপ্রদেশ-সহ গোটা দেশ। উল্লেখ্য, এই প্রথম বিশাখাপত্তনমে সভা করছেন বাংলার বাঘিনী।
অন্যদিকে, বিশাখাপত্তনমের সভার পর নাইডু বাংলায় এসে প্রচার করতে পারেন বলে জানা গেছে। মমতা বলেছেন, ‘আর কয়েকদিন পরেই এই সরকার বিদায় নেবে। নতুন সরকার আসবে। তৈরি হবে অভিন্ন কর্মসূচি। দেশের মানুষ শান্তিতে বসবাস করবে। ভাগাভাগির রাজনীতি বন্ধ হবে।’ তবে বিশাখাপত্তনমের পর আগামী ৫ এপ্রিল আসামে সভা করতে যাবেন মমতা। দলের ইস্তাহার প্রকাশের দিনি এ কথা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন তিনি।