বর্ষবরণের রাতে মানুষের উৎসবের আমেজে যাতে এতটুকুও অসুবিধার সৃষ্টি না হয় তার জন্য কলকাতা জুড়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিতে চলেছে প্রশাসন৷ সেই কারণেই এ বার বর্ষবরণের রাতে ইভটিজিং এবং মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর উপরে বিশেষ নজরদারি চালাবে কলকাতা ও বিধাননগর পুলিশ৷
পুলিশ সূত্রের খবর, বর্ষশেষের রাত থেকেই পার্ক স্ট্রিট এবং নিউ মার্কেট চত্বরে বাড়তি বাহিনী মোতায়েন থাকবে। ভিড় সামাল দিতে নিউ মার্কেট, পার্ক স্ট্রিট-সহ নানা এলাকা বিভিন্ন জোনে ভাগ করা হচ্ছে। কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন ডেপুটি কমিশনারেরা সেই সব জোনের দায়িত্বে থাকবেন। বিশেষ নজর থাকবে পার্ক স্ট্রিট অঞ্চলে। ওয়াচ টাওয়ার থেকে নজরদারি, কুইক রেসপন্স টিম, মোটরবাইকে নজরদারি থাকবে সবই। অতিরিক্ত এক হাজারের বেশি পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবেন ওই এলাকায়।
কলকাতার পাশাপাশি বিধাননগর কমিশনারেটের সল্টলেক, নিউ টাউন-সহ কয়েকটি এলাকার বিনোদন পার্ক, শপিং মলগুলিতেও অতিরিক্ত পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হবে। চলবে সাদা পোশাকের পুলিশের নজরদারিও। ভিআইপি রোড, বিশ্ব বাংলা সরণিতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে বিশেষ জোর দেওয়া হবে।
বিনোদন পার্কের ভিতরে ও বাইরে টহল দেওয়ার পাশাপাশি পাবলিক অ্যা়ড্রেস সিস্টেম এবং কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। ওভারটেক করা, বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানো রুখতেও নজরদারি জোরদার করা হচ্ছে। মত্ত অবস্থায় গা়ড়ি চালালে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
কয়েকটি থানা এলাকায় বর্ষশেষের রাতে বিশেষ নজর রাখা হবে। বর্ষবরণের রাতে খাবার কিংবা পানীয়ের অভাবের কারণে গোলমাল যাতে না বাধে, তার জন্য বিনোদন পার্কগুলিকে সতর্ক করেছে পুলিশ।
লালবাজার জানিয়েছে, বেপরোয়া মোটরবাইকের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে। একই সঙ্গে পার্ক স্ট্রিট, নিউ মার্কেট-সহ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ইভটিজারদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে রাস্তায় নামবে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত পুলিশ বাহিনী ‘উইনার্স’। ইভটিজার-সহ দুষ্কৃতীদের উপর বিশেষ নজর রাখা হবে। লালবাজারের দাবি, পুজোর সময়ে সাফল্যের নিরিখে ফের ‘উইনার্স’-কে পথে নামানো হচ্ছে৷