এখনও মানুষ ভোলেনি বুলন্দশহরে ঘটা হানাহানির কথা। পুলিশ খুনের তদন্ত না হওয়ায় এখনও বিতর্কের শিরোনামে যোগী সরকার। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এক পুলিশ কর্মী খুন হল উত্তরপ্রদেশে। আর এবার অভিযোগ নিষাদ পার্টির বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি গাজিপুরের। ঘটনাস্থল থেকে সামান্য দূরেই সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই কর্তব্যরত ছিলেন পুলিশ কর্মী সুরেশ ভাট। তিনি ডিউটি সেরে ফেরার পথে নিষাদ পার্টির অবরোধের মুখে পড়েন। পুলিশের একটি দলকে বিক্ষোভরত পার্টি কর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হলে পুলিশের সঙ্গে প্রথমে ধস্তাধস্তি বেধে যায় ওই বিক্ষোভকারীদের। এরপরেই তাঁরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে দেয়। সেই পাথরের আঘাতেই ওই পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো গেছে।
চাপের মুখে পড়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, তড়িঘড়ি ঘটনার রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনায় অভিযুক্ত ১৫ জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। তবে আগেরবারের ঘটনার মতো ফের যাতে সমালোচনার ঝড় না ওঠে, তাই এবার ঘটনার পরেই মৃতের পরিবারের জন্য ৪০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করে দিয়েছেন যোগী। যাকে বিরোধীরা বলছেন বুলন্দশহরের ঘটনার দিক থেকে মানুষের চোখ ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা।
প্রসঙ্গত, বুলন্দশহরে গো হত্যা বিরোধী প্রচারের মুখে পড়ে প্রাণ হারাতে হয়েছিল ইন্সপেক্টর সুবোধ সিংকে। তারপরই গোটা দেশজুড়ে ওঠে প্রতিবাদের ঢেউ। সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলির হাত থেকে যোগীর রাজ্য যে আদৌ সুরক্ষিত নয়, এবারের ঘটনায় তা ফের প্রমাণিত হয়ে গেল। বিরোধীদের প্রশ্ন, আর কতজন পুলিশ কর্মীকে এভাবে সাম্প্রদায়িকতা ও হিংসার বলি হতে হবে?