‘পরিকাঠামো উন্নয়নে ২৫ হাজার কোটি টাকা বাজেটে ধরা হয়েছে। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। কিন্তু আগে পরিকল্পনা বহির্ভূত খাতে খরচ হত বেশি’। বিধানসভায় একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার কথায়, ‘শুধু চেঁচালে হবে না। আমরা উন্নয়নের ক্ষেত্রে এখনও প্রচুর অর্থ খরচ করে চলেছি’।
মঙ্গলবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্র, অর্থমন্ত্রী ড. অমিত মিত্রের কাছে জানতে চান, ৩১ অক্টোবর ২০১৮ সাপেক্ষে রাজ্যের মোট ঋণের পরিমাণ কত? অর্থমন্ত্রী জানান, ‘বামফ্রন্ট সরকার ২০১১ সালে এই সরকারের ওপর ১,৯১,৮৩৫.৬২ কোটি টাকা ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে গেছে। এই ঋণের মূলধন এবং সুদ শোধ করার জন্য রাজ্য সরকারকে গত ৭ বছর ধরে ১,৫৩,৭৪১. ৮৯ কোটি টাকা ৩১ অক্টোবর ২০১৮ অবধি ঋণ নিতে হয়েছে। এই দুটি মিলিয়ে ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩,৪৫,৫৭৭.৪১ কোটি টাকা।’ এই ঋণের বোঝার জন্য পূর্ববর্তী সরকারকে দায়ী করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘পুরনো ঋণের বোঝা শোধ করতেই আবার বিপুল পরিমাণে ঋণের বোঝা সরকারের ওপর চেপেছে। এই সরকারের নেওয়া স্বল্প ঋণ মিলিয়ে ৩১ অক্টোবর ২০১৮ অবধি মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩,৬৭,১৩৬.৮৬ কোটি টাকা। স্বল্প সঞ্চয়ে রাজ্যের ৭৩ হাজার কোটি টাকা সেভিংস হয়েছে। পরিকল্পনা খাতেই বেশি অর্থ ব্যয় হয়েছে।’
অর্থমন্ত্রীর অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ‘আগের সরকার ঋণের ফাঁদে ফেলে গিয়েছিল। সেখান থেকে আমরা ধীরে ধীরে বেরোনোর চেষ্টা করছি। মূলধনী খাতে রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। যেটা দেশের মধ্যে অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে। ই–গভর্নেন্সের ক্ষেত্রে আমাদের সরকার খুব ভাল কাজ করে চলেছে। এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ৪টে পুরস্কার দিয়েছে। আমরা এর সরলীকরণ করেছি। যা মানুষের উন্নয়নে কাজে লাগছে।’