ভারতের কোচ হিসেবে গ্রেগ চ্যাপেলের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা আগেই করেছেন সৌরভ গাঙ্গুলি, শচীন তেন্ডুলকার। এবার সেই পথে হাঁটলেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। আত্মজীবনী ‘২৮১ অ্যান্ড বিয়ন্ড’–এ কোচ হিসেবে গ্রেগের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছেন তিনি। লক্ষ্মণ বলেছেন, তিনি আশা করেছিলেন, জন রাইট চলে যাওয়ার পর ভারতীয় দলের উন্নতিতে আরও সাহায্য করবেন চ্যাপেল। কিন্তু তা হয়নি। বরং ভারতীয় ক্রিকেটকে ধ্বংসের পথে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। চ্যাপেলের জমানায় যেটুকু সাফল্য পেয়েছিল ভারতীয় দল, তার পেছনে অবদান ছিল শুধু প্লেয়ারদেরই, মত লক্ষ্মণের। চ্যাপেলের আচরণকে ‘রূঢ়, অভব্য, একগুঁয়ে’ বলে আত্মজীবনীতে লিখেছেন তিনি। একটা সময়ে গ্রেগ চ্যাপেলের বিরাট ভক্ত ছিলেন, এটা জানিয়ে লক্ষ্মণ লিখেছেন, ‘ছবিতে এবং ভিডিওতে ওঁকে যেটুকু দেখেছি, খুব মার্জিত দেখাত। বলে শট নিতেন খুব সুন্দরভাবে। স্লিপে যখন ফিল্ডিং করতেন, সেটাও ছিল দেখার মতো। আমাদের কোচ হওয়ার অনেক আগে দু’বার ওঁর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়েছিল। আমার জ্ঞানের পরিধি বেড়েছিল। ওঁর প্রতি শ্রদ্ধা বেড়ে গিয়েছিল দ্বিগুণ। জনের (রাইট) উত্তরসূরি হিসেবে যখন গ্রেগের নাম শুনলাম, খুশি হয়েছিলাম, উত্তেজনাও হয়েছিল।’
লক্ষ্মণ পরে লিখেছেন, ‘২০০৫–এর গ্রীষ্মে ক্লাব ক্রিকেট খেলতে ইংল্যান্ডে যাই। আমার সতীর্থদের মধ্যে ছিল অসি ব্যাটসম্যান গ্রেগ ব্লিওয়েট। ও–ই আমাকে প্রথম বলেছিল গ্রেগ (চ্যাপেল) সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্য। সাউথ অস্ট্রেলিয়ার কোচ ছিলেন গ্রেগ। তখন ওই দলের হয়ে খেলত ব্লিওয়েট। ও আমাকে বলেছিল, দলের মধ্যে নানা অস্থিরতা তৈরি করেছিলেন গ্রেগ। তখন অবশ্য ব্লিওয়েটের কথাকে খুব সিরিয়াসলি নিইনি।’ পরে নানা অভিজ্ঞতায় লক্ষ্মণ বুঝেছিলেন, ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য গ্রেগ চ্যাপেল কতটা ক্ষতিকর। লক্ষ্মণ লিখেছেন, ‘ব্যাটসম্যান হিসেবে সবসময় গ্রেগ চ্যাপেলকে শ্রদ্ধা করব। দুর্ভাগ্যবশত এই কথাটা কোচ হিসেবে গ্রেগ চ্যাপেলের জন্য বলতে পারব না।’