বাংলায় উন্নয়নের জোয়ার এনেছে মা-মাটি-মানুষের সরকারই। এ কথা এক বাক্যের স্বীকার করেন প্রায় প্রতিটি মানুষই। গোটা রাজ্য জুড়েই চলছে নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ। ইতিমধ্যেই ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পে আড়াই লক্ষ পুকুর কেটেছে রাজ্য। মঙ্গলবার বিধানসভায় একথা জানিয়েছেন স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি জানান, ‘এই পুকুরগুলিতে মাছ চাষ হচ্ছে। সেচের জন্য জল দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূমে সেচের জন্য ৫০০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। ২ হাজার কোটি টাকা নিম্ন দামোদরের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। গোটা এলাকার সেচ ব্যবস্থাকে সুন্দর করে সাজানো হচ্ছে।’
গতকাল বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে দীপককুমার হালদারের এক প্রশ্নের উত্তরে সেচমন্ত্রী ড. সৌমেন মহাপাত্র জানান, ‘হিঙ্গলগঞ্জে স্লুইস গেট নির্মাণে ৮ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কালীচরণপুর থেকে বেন্দাল পর্যন্ত খালের সংস্কারও করা হয়েছে। বাংলা জুড়ে ৫৪৯টি প্রকল্প হয়েছে। ইতিমধ্যে খরচ হয়েছে ২২৬১ কোটি টাকা। বাড়ানো হচ্ছে চ্যানেলের সংখ্যাও। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে আরও ৫৬২টি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।’
বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর বলেন, ‘মাতলা নদী মজে গেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন একটি রেলসেতু করার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। কিন্তু সে কাজ কেন্দ্রীয় সরকার এখনও করেনি। কয়েক হাজার বিঘে জমি দখল হয়ে যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘উচ্চপর্যায়ের কমিটি গড়ে আমরা পড়ে থাকা জমিগুলি চিহ্নিত করছি। রিপোর্ট আসার পর তা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব মন্ত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেব। এরপর তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন।’