দেশজুড়ে বিজেপি বিরোধী জোটকে একছাতার তলায় আনতে চান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লক্ষ্যেই আজ সোমবার বিকালে নবান্নে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলেগু দেশম পার্টির সভাপতি চন্দ্রবাবু নায়ডুর সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মমতা। সম্ভবত আজই হবে বিজেপি বিরোধী জোটের নান্দীমুখ।
বিজেপি–বিরোধী জোটের ক্ষেত্র তৈরি করতে দু’জনেই এককাট্টা। দু’জনেই চান নরেন্দ্র মোদী জমানার অবসান। সেই লক্ষ্যে সলতে পাকানো শুরু হয়েছে আগেই। এবার বাস্তবিক স্তরেও তার সূচনা।ইতিমধ্যেই অ-বিজেপি দলগুলিকে একমঞ্চে হাজির করতে ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডে সমাবেশের ডাক দিয়েছেন মমতা। বিজেপির বিরুদ্ধে যথাসম্ভব অভিন্ন প্রার্থী দেওয়ার ফর্মুলা কার্যকর করতে মমতার দৌত্য মেনেই তাঁর দ্বারস্থ নাইডু। তাই বিজেপি বিরোধী জোট সম্প্রসারণের আবহে দুই মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রেও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
নোট বাতিল থেকে জিএসটির মতো অর্থনৈতিক বিষয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ফতোয়ার বিরুদ্ধে গত কয়েক বছর ধরে লাগাতার প্রতিবাদ জানিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মমতা। শুধু রাজ্যের পরিসরেই নয়, সর্বভারতীয় স্তরে বিরোধী ঐক্যে সর্বাগ্রে তৎপর হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। নরেন্দ্র মোদী সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক বিরোধের মাত্রা ক্রমে বেড়েই চলেছে বাংলার শাসকদলের। মমতার আবেদনে সাড়া দিয়ে ভিন রাজ্যের অ-বিজেপি দলগুলি মোদি বিরোধী জেহাদে সুর মেলাতে শুরু করেছে। বিরোধী ঐক্যের ডাক দিয়েছিলেন মমতা। তাঁর সেই ডাকেই সাড়া দিয়ে একদা মোদি সরকারের শরিক তেলুগু দেশমও জোট গঠনে উদ্যোগ নিয়েছে। তার সুবাদেই আজ মুখোমুখি হতে চলেছেন মমতা-নাইডু।
জুলাইয়ে কলকাতায় এসেছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। তিনি ও বৈঠক করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এদিনের বৈঠকে চন্দ্রবাবু নাইডু যদি কোনও সদর্থক ইঙ্গিত দিতে পারেন, তাহলে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাল্লা আরও ভারী হবে।