জল্পনা ছিল কেন্দ্র ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সংঘাতে পদত্যাগ করতে পারেন উর্জিত প্যাটেল। এই আশঙ্কার মধ্যেই আজ সোমবার মুম্বইয়ে বসছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিচালন বোর্ডের বৈঠক।
নিয়মে রদবদল করে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ওপর প্রভাব আরও বাড়াতে চায় মোদী সরকার। এমনিতেই বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করেন, দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতিতে বেশ কয়েকজন সরকার পক্ষের লোক আছেন। প্রভাব আরও বাড়ানো হলে দু’পক্ষের মধ্যে চাপানউতোর বাড়বে। একইসঙ্গে শোনা যাচ্ছে কোনও মধ্যপন্থা অবলম্বন করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা হচ্ছে। আর গভর্নর উৰ্জিত প্যাটেলের পদত্যাগের সম্ভাবনাও কম বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ জল্পনা ছিল কেন্দ্র–রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সংঘাতে পদত্যাগ করতে পারেন উর্জিত প্যাটেল।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কোষাগারে গচ্ছিত রয়েছে প্রায় ৯ লক্ষ কোটি টাকা। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কেন্দ্র চাইছে ওই টাকার এক তৃতীয়াংশ অর্থমন্ত্রকের হাতে তুলে দিক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সরকারের দাবি ওই টাকা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উদ্বৃত্ত। রাজনৈতিক মহলের দাবি ওই টাকা নিয়ে ভোটের আগে বাজার চাঙ্গা করতে চায় সরকার। এদিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দাবি, সরকার ব্যাঙ্ক পরিচালনার ক্ষেত্রে নাক না গলাক।
কেন্দ্রের দাবি, অনাদায়ী ঋণে জর্জরিত ১২টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের নয়া ঋণনীতি শিথিল করুক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। গত ২৩ অক্টোবরের বৈঠকে এই নিয়ে সরকারের সঙ্গে ব্যাঙ্কের সংঘাত লেগে যায়। তবে মনে করা হচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে সংঘাত এড়িয়ে একটি ঐক্যমতে আসতে চায় সরকার। কারণ হঠাৎ করে উর্জিত প্যাটেল পদত্যাগ করলে তা সরকারের পক্ষে ভাল হবে না।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বোর্ডে সরকার নিয়োজিত প্রতিনিধি এস গুরুমূর্তি, সুভাষ চন্দ্র গর্গ ও রাজীব কুমার আজকের বৈঠকে বড় ভূমিকা নেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এই তিনজনই বেশ কিছুদিন ধরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিভিন্ন কর্মপদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছেন। বোর্ডে রয়েছেন অর্থনীতিবিদ অশোক গুলাটি, টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্র শেখরন, ভরত দোশীর মতো ব্যকিত্বরা।
এই টানটান উত্তেজনার পরিস্থিতিতে সরকার বনাম আরবিআই কোনও নতুন পথ বেরিয়ে আসে কিনা এখন সেটাই দেখার।