জনগণের হাতে বারংবার প্রহৃত হয়েও শিক্ষা হয়নি তাদের। এবার গ্রামের ক্লাব দখল করতে এসে গ্রামবাসীদের বাধার মুখে পড়ল ‘নির্লজ্জ’ বিজেপি। তবে এখানেই শেষ নয়। গ্রামবাসীরা বাধা দিলে তাঁদের সঙ্গে প্রথমে বচসা এবং পরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পরেন বিজেপি কর্মীরা।
ঘটনাটি ঘটেছে কেশিয়াড়ি ব্লকের বাঘাস্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের পলাশিয়া গ্রামে। ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৫ জন। তবে ওই সংঘর্ষের পর গ্রামবাসীদের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে, বিজেপির ওই কর্মীরাও গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান।
এলাকার বহু পুরনো ক্লাব পলাশিয়া নীলকন্ঠেশ্বর আদিবাসী ক্লাব। ক্লাবে সারাবছরই খেলাধুলো ও সাংস্কৃতিক চর্চা হয়ে থাকে। গত বছর কেশিয়াড়ি ব্লকের ক্লাবগুলির মধ্যে সেরা হয়ে জঙ্গলমহল ফুটবল কাপের চ্যাম্পিয়নও হয় তারা। প্রসঙ্গত, ক্লাবের সদস্যরা প্রায় সকলেই তৃণমূল সমর্থক।
অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকেই বিজেপির নেতা-কর্মীরা ক্লাবের সদস্যদের বিজেপিতে আসার জন্য চাপ দিচ্ছিল। এ বছরও জঙ্গলমহল ফুটবল কাপের জন্য কেশিয়াড়ি থানা থেকে ক্লাবকে মনোনীত করা হয়। তাই শনিবার ক্লাবের সভাপতি ও সম্পাদক থানায় গিয়ে নাম নথিভুক্ত করিয়ে আসেন। কিছু সময় পর বিজেপির নেতা-কর্মীরা থানায় গিয়ে পাল্টা নামের তালিকা জমা দেন।
এরপর বিকেলে গ্রামের মাঠে স্থানীয় কিশোর-যুবকরা যখন ফুটবল খেলতে নামেন, তখন বিজেপি কর্মীরা এসে তাঁদের ওপর চড়াও হন। তাঁরা এর প্রতিবাদ করতে গেলে তপন মাইতি ও প্রদীপ ভুঁইয়ার নেতৃত্বে বিজেপি কর্মীরা এলোপাথারি মারতে শুরু করেন। তখনই গ্রামের মানুষ রুখে দাঁড়ান। এরপর দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে গুরুতর আহত হন ৮ তৃণমূল কর্মী।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি পবিত্র শিট জানান, গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে পলাশিয়া সংসদে জয়ী হন বিজেপির প্রার্থী হাসি সোরেন। এরপর থেকেই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিরা অকারণে তৃণমূল কর্মী-সমর্থক-সহ নিরীহ গ্রামবাসীদের ওপর হামলা করছে। তারা যখন তখন বাড়ি ভাঙচুর করছে। লুটপাট চালাচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, এভাবে বহিরাগত দুষ্কৃতিদের মদতে এলাকায় অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করছে বিজেপি।