ইচ্ছার বিরুদ্ধে ছুটিতে পাঠানো সিবিআই অধিকর্তা আলোক বর্মা হাটে হাঁড়ি ভাঙবেন? ইঙ্গিত তেমনই।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনকে লিখিতভাবে বর্মা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক অনবরত সিবিআইয়ের কাজে ‘নজরদারি’ চালাচ্ছেন। সঙ্গে রয়েছেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী। যিনি লালুপ্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে আইআরটিসি মামলায় তদন্তের জন্য তথ্য সংগ্রহ করে চলেছেন।
বর্মা সিভিসি-কে আরও জানিয়েছেন, ওই বিষয়ে বিশদে তদন্ত হলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের ওই আধিকারিকের নাম প্রকাশ্যে জানাতে পারেন।
উল্লেখ্য, গত ২৪ অগাস্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার সচিবের কাছে সিবিআই অধিকর্তা আলোক বর্মার বিরুদ্ধে ৯টি দূর্নীতির অভিযোগ পেশ করেন সিবিআইয়ের বিশেষ অধিকর্তা রাকেশ আস্থানা। সেই অভিযোগের তদন্ত করছে সিভিসি। ইতিমধ্যে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বর্মাকে। কিন্তু কমিশনের তদন্তে খুশি নন বর্মা। ঘনিষ্ঠমহলে তাঁর অভিযোগ, ২৪ অগাস্টের তোলা অভিযোগের ভিত্তিতে কমিশন তাঁদের তদন্তে জোর দিচ্ছে। অথচ তাঁকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে আগের অভিযোগের ভিত্তিতে। সে সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত একটাও প্রশ্ন করা হয়নি তাঁকে।
প্রসঙ্গত, সিভিসি প্রধান কেবি চৌধুরির ‘নিরপেক্ষতা’ নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন বর্মা। তাঁর অভিযোগ ছিল, সিভিসি কর্তার সঙ্গে আস্থানার ‘যোগসাজস’ রয়েছে। বর্তমান সিভিসি কর্তা কে বি চৌধুরির বিরুদ্ধেও অভিযোগ আছে। অভিযোগ, সাহারা-বিড়লা ডায়েরি মামলায় নিজের বিরুদ্ধে যাবতীয় তথ্য-প্রমান তিনি জ্বালিয়ে নষ্ট করে দিয়েছিলেন। তৎকালীন অভিযানে নগদ ৪০ কোটি টাকা এবং একটি ডায়েরি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। যাতে রাজনৈতিক নেতা ও উচ্চপদস্থ কর্তাদের টাকা দেওয়ার উল্লেখ ছিল। উল্লেখ ছিল ‘গুজরাট সিম’-এরও। ঘটনাচক্রে সেই সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদী। অভিযোগ, সেই মামলা ধামাচাপা দেওয়ার বিনিময়েই কে বি চৌধুরিকে সিভিসি পদে বসিয়ে পুরস্কৃত করেছে মোদী সরকার।