দেশের একের পর এক স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে নেমে আসছে মোদী সরকারের খাঁড়া। এবার আক্রান্ত রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। জানা গেছে, নজিরবিহীনভাবে আরবিআই-এর ৭ নম্বর ধারায় কিছু বিষয়ের নিষ্পত্তির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার গোটা তিনেক চিঠি পাঠিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে। এমন ‘অভূতপূর্ব’ হস্তক্ষেপের জেরেই নাকি ইস্তফা দিতে চলেছেন উর্জিত প্যাটেল। ঘটনার জেরে বিভিন্ন বন্ড বিক্রি এবং টাকা বেঁচে বিদেশি মুদ্রা কেনার ধুম পড়ে গিয়েছে বাজারে।
কেন্দ্রের অর্থ মন্ত্রকের সঙ্গে আগেও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মতভেদ ঘটেছে। কিন্তু কোনও সরকারই এই ইমার্জেন্সি সুইচ ব্যবহার না করে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের স্বাধীনতাকে সম্মান দিয়েছে। কিন্তু মোদী সরকারের কাছে এসব নজিরের কোনও গুরুত্ব নেই। গত কয়েক সপ্তাহে ওই ৭ নম্বর ধারা ব্যবহার করে ক্ষুদ্র ও অতি ক্ষুদ্র সংস্থায় ঋণ, বিদ্যুৎ সংস্থার পাওনা উদ্ধারে ছাড়, লোকসানের বোঝায় দুর্বল আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে নতুন ঋণ দেওয়ার মতো বিভিন্ন বিষয়ে সরকারি সুপারিশ স্পষ্ট করে মোদী সরকারের থেকে পরপর ৩ টি চিঠি গেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর উর্জিত প্যাটেলের কাছে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক স্বশাসিত সংস্থা। তবে আরবিআই আইন ১৯৩৪-এর ৭ নম্বর ধারায় কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ পাঠানোর অধিকার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার পর কোনও সরকার এই ধারা প্রয়োগ করেনি। এই ধারাটি ভারতীয় গণতন্ত্রের একটি ইমার্জেন্সি সুইচ। সংবিধানেও আরবিআই-কে স্বাধীন এবং স্বশাসিত সংস্থা হিসাবেই দেখা হয়েছে।