বিপজ্জনক সেতু বাঁচাতে ও নিরাপত্তার স্বার্থে নেওয়া সরকারি সিদ্ধান্তকে ঢাল করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে একশ্রেণির ব্যবসায়ী। এবার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে কোনওভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যাতে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে না যায় তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দেন মমতা। পাশাপাশি এই জন্য বাজারে নিয়ম করে নজরদারি চালানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, রাজ্যে মাছ চাষ বাড়াতে হবে। এখন অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে মাছ আমদানি হয়। আগামী বছরের মধ্যে মাছ চাষ বাড়িয়ে স্বনির্ভর হতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ভূমি দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বেশ কিছু জলাজমি বাম আমল থেকে দখল হয়ে রয়েছে। সেগুলি যে কোনওভাবে উদ্ধার করে সরকারি স্তরে মাছ চাষ শুরু করতে বলেছেন তিনি। এতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন। রাজ্যে এখন প্রায় ১৭ লক্ষ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়। আরও প্রায় দুই লক্ষ মেট্রিক টন উৎপাদন বাড়াতে হবে। মৎস্য দপ্তর সূত্রে খবর, ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পে তৈরি জলাশয়গুলিতেও মাছ চাষের ভাবনা বাস্তবায়িত করা হবে দ্রুত।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘হিমঘরে এখনও ৫২ শতাংশ আলু মজুত রয়েছে। ফলে উদ্বেগের কারণ নেই। দাম বাড়ারও আশঙ্কা নেই। কিন্তু পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। রাজ্যে উৎপাদন বাড়লে তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। সেদিকে নজর দিতে হবে। রাস্তায় ওভারলোডেড লরি দেখলেই ব্যবস্থা নিতে হবে। বেশ কিছু রাস্তায় ও সেতুতে ২০ চাকার লরি বন্ধ করা হয়েছে নিরাপত্তার স্বার্থে। কিন্তু তার মানে এই নয়, ব্যবসায়ীরা সুযোগ নেবেন। এটা করা চলবে না। নজরদারি বাড়াতে হবে। আটকাতে হবে বড় গাড়ি, কিন্তু দাম রাখতে হবে মানুষের নিয়ন্ত্রণে’।