বাঙালি বিতাড়ন থেকে নাগরিক পঞ্জী-সহ একাধিক ইস্যুতে জেরবার আসামের বাঙালিরা। এবার তাঁদের পাশে দাঁড়াতে সংগঠন বাড়িয়ে আসামে হাজির তৃণমূল। গুয়াহাটিতে তৈরি হয়েছে দলীয় কার্যালয়। তার উদ্বোধন করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
বেলা দেড়টা নাগাদ ফিরহাদ হাকিম ও যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসের হায়দর গুয়াহাটি বিমানবন্দরে নামেন। বিমানবন্দরের বাইরে ফিরহাদকে অভ্যর্থনা জানান অসমের তৃণমূলের কর্মী ও নেতারা। অনেকেই মোবাইলে তাঁর ছবি তোলেন। বিমানবন্দর থেকে হোটেলে গিয়ে গুয়াহাটির লাল গণেশ লোখরা রোডে মঙ্গলদীপ আবাসনে যান ফিরহাদ। এখানেই তিনতলায় তৃণমূলের কার্যালয় তৈরি করা হয়েছে। দুপুর ২টো নাগাদ ফিতে কেটে এই কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন ফিরহাদ।
এরপর একটি কর্মীসভায় অংশ নেন ফিরহাদ। দলীয় কার্যালয়ে গুয়াহাটি, শিলচর, ডিব্রুগড়, বরপেটা-সহ বিভিন্ন জেলা থেকে বহু কর্মী সমর্থক উপস্থিত হয়েছিলেন। যাঁরা প্রথম থেকে তৃণমূলের সঙ্গে ছিলেন, কোনও কারণে অভিমান করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন কর্মী সম্মেলনে। ফিরহাদ স্পষ্ট বলেন, ‘পুরনো ও নতুনরা মিলে একসঙ্গে এখন থেকে কাজ করতে হবে’। নাগরিকপঞ্জি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনে শামিল হতে চেয়ে প্রাক্তন বিধায়ক ইউসুফ আলি ও সহদিদ মজুমদার এবং মাদ্রাসা বোর্ডের প্রাক্তন অধিকর্তা আবদুল কায়ুম আলামিন তৃণমূলে যোগ দেন।
কর্মীদের উদ্দেশ্যে ফিরহাদ বলেন, ‘নাগরিক পঞ্জী থেকে ৪০ লক্ষ মানুষের নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে শুধু বাঙালিই নয়, আসামের মানুষজন ও অন্য রাজ্যের লোকেরাও রয়েছেন। মমতার পথ অনুসরণ করে আপনারা এই নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগঠিত করুন। এর আগে নেত্রীর নির্দেশে বাংলা থেকে কয়েকজন প্রতিনিধি শিলচরে গিয়েছিলেন, কিন্তু শিলচর বিমানবন্দরেই তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। প্রশাসনের এই আচরণের বিরুদ্ধেও আপনাদের জনমত তৈরি করতে হবে। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। মমতার পথ অনুসরণ করে আপনারাও আন্দোলন সংগঠিত করুন। জনমত গড়ে তুলুন। আমরা আপনাদের পাশে আছি। পুজোর পর আবার দেখা হবে’।
কর্মীসভায় উপস্থিত জনতা দাবি করেন, একবার নেত্রীকে আসামে আসতে বলুন। তাহলে আমরাও মনের জোর পাব।