তার সতীর্থরা যখন ভারতের বিপক্ষে লর্ডসে লড়ছে, তখন ইংল্যান্ডের প্রথম টেস্টের জয়ের নায়ক বেন স্টোকস আদালতের কাঠগড়ায় মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে। গত বছর ব্রিস্টলে নাইটক্লাবের বাইরে মারপিটের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ এনেছেন স্টোকসের হাতে নিগৃহীত এক প্রাক্তন সেনাসদস্য।
ব্রিস্টলের ক্রাউন কোর্টে মামলার চতুর্থ দিনের শুনানিতে রায়ান হেল নামের সেই প্রাক্তন সেনাসদস্য জানান, স্টোকস তাকে খুনও করতে পারতেন। ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান। স্টোকসের বেদম প্রহারে রায়ান আলি ও রায়ান হেল, দু’জনই জ্ঞান হারিয়েছিলেন। সেটা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে। স্টোকসের দাবি, এক সমকামী প্রেমিক যুগলকে হেনস্থা করছিলেন সেই সেনাকর্মী। তাই তিনি মেজাজ হারিয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন।
যদিও নাইটক্লাবের পাশে দুই সমকামী ব্যক্তিকে স্টোকস নিজেই নাকি ব্যঙ্গ করেছিলেন। একজনের পশ্চাদ্দেশে জ্বলন্ত সিগারেটও চেপে ধরেছিলেন বলে স্টোকসের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল।
মামলা যত এগোচ্ছে স্টোকসের শাস্তির শঙ্কা তত বাড়ছে। দোষী প্রমাণিত হলে হয়তো তিন বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে ইংল্যান্ডের এই অলরাউন্ডারের।
মামলার যা গতিপ্রকৃতি, তাতে স্টোকসের রেহাই পাওয়া কঠিন। স্টোকস দাবি করছেন তিনি নির্দোষ। কিন্তু পুলিশের রিপোর্ট ও সরকারি আইনজীবীদের বক্তব্যে স্টোকসকে দোষী করা হয়েছে। ব্রিস্টলে নাইটক্লাবের বাইরে সে দিনের ঘটনা নিয়ে পুলিশের বক্তব্য ছিল, বেন স্টোকস পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় ছিলেন। প্রতিশোধের মানসিকতা নিয়েই আক্রমণ করেছিলেন স্টোকস।