মঙ্গলের আকাশে এবার চক্কর মারবে হেলিকপ্টার! সাধারণত পৃথিবীতে যতটা উচ্চতায় উড়তে পারে হেলিকপ্টার, মঙ্গলে উড়বে নাকি তার আড়াই গুণ বেশি উচ্চতায় এবং প্রায় ১০ গুণ দ্রুততার সঙ্গে।
ভাবা যত সহজ, কাজটা কিন্তু তত সোজা নয়। যেহেতু মঙ্গলে বায়ুমণ্ডল প্রায় নেই বললেই চলে, তাই মঙ্গলের আকাশে হেলিকপ্টার চালানোর কাজটা বেশ কঠিন।তাই ২০১৩ সাল থেকেই ওই প্রযুক্তি নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চলছিল। এ বার তার ‘ট্রায়াল’ শুরু হবে পৃথিবীতে।
মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর আগে সব কিছু পরীক্ষা করে দেখতে ২০২০-তে যে রোভার মহাকাশযান পাঠাচ্ছে নাসা, তার ভিতরে পুরেই লাল গ্রহে পাঠানো হবে স্বয়ংচালিত একটি খুদে হেলিকপ্টার বা ‘মার্সকপ্টার’।
পৃথিবীতে এখনও পর্যন্ত ৪০ হাজার ফুটের বেশি উচ্চতায় হেলিকপ্টার ওড়ানো সম্ভব হয়নি। প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার মিমি আউং জানিয়েছেন, ‘‘মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলের যা ঘনত্ব, তাতে ওই মার্সকপ্টার লাল গ্রহের আকাশে ততটাই ওপরে থাকবে, পৃথিবীতে হলে যে উচ্চতা হত এক লক্ষ ফুট। অত পাতলা বায়ুমণ্ডলে হেলিকপ্টার ওড়ানোটাই একটা মস্তবড় চ্যালেঞ্জ।’’
মঙ্গলে বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের এক শতাংশেরও কম বলে, ওড়ানোর জন্য হেলিকপ্টারটিকে যতটা সম্ভব হাল্কা করা হয়েছে।তবে ওই হেলিকপ্টার চালানোর আরো অসুবিধা রয়েছে। কারণ পাইলট ছাড়াই চালাতে হবে সেটি। তার ওপর মঙ্গল পৃথিবী থেকে অনেক অনেক দূরে রয়েছে বলে যখন তখন গতিপথ বা গতিবেগও বদলানো যাবে না। গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে আগে পাঠানো কমান্ডের ভিত্তিতেই চালাতে হবে মার্সকপ্টার।
কিন্তু কেন হেলিকপ্টার পাঠানো হচ্ছে মঙ্গলে? হেলিকপ্টার দিয়ে তোলা ছবি দিয়ে লাল গ্রহের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বুঝতে নাকি আরো বেশি সুবিধা হবে।