দেশে একের পর এক করোনার ঢেউ আছড়ে পড়ায় বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অটোমোবাইল শিল্প। একদিকে যেমন বিক্রি কমেছে, তেমনই আবার কাঁচামাল সামগ্রীরও দাম বেড়েছে। বর্তমানে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের দাপটে ফের একবার উর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ। যেকোনও মুহূর্তেই আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। তাই অটোমোবাইল শিল্পকে বাঁচাতে আসন্ন বাজেটের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থারা।
দেশের মোট জিডিপির ৭.১ শতাংশ আসে ৮ লক্ষ কোটি টাকার এই শিল্পক্ষেত্র থেকেই। সেই কারণেই অটোমোবাইল শিল্প ধাক্কা খেলে, তার সরাসরি প্রভাব পড়ে দেশের অর্থনীতিতে। দ্য ফেডেরেশন অব অটোমোবাইল ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে ইতমধ্যেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কাছে বেশ কিছু প্রস্তাবনা জমা দেওয়া হয়েছে।
১. ফেডেরেশন অব অটোমোবাইল ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে কেন্দ্রের কাছে আয়করদাতা গাড়ি মালিকদের নানা সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাবের অবমূল্যায়নের জানানো হয়েছে। প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে,যারা আয়কর দেন কিংবা গাড়ির মালিক, তাদের কী কী বিশেষ সুবিধা দেওয়া যায়, তার অবমূল্যায়ন করতে। এতে একদিকে যেমন আয়করদাতাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, একইসঙ্গে গাড়ির চাহিদাও বৃদ্ধি পাবে।
২. এফএডিএ-র তরফে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে ‘অবমূল্যায়ন স্কিম’-র মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনও জানানো হয়েছে। এই সুবিধা ২০২০ সালের ৩১ মার্চ অবধিই ছিল, কিন্তু গাড়ি ব্যবসায়ীদের দাবি, এই সুবিধার মেয়াদ যেন কমপক্ষে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষ অবধি বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
৩. অটোমোবাইল শিল্পকে ফের একবার পুনর্জ্জীবীত করতে কেন্দ্রের কাছে দুই চাকার যানবাহনের উপর জিএসটি কমিয়ে ১৮ শতাংশ করার দাবি জানানো হয়েছে। এফএডিএ-র তরফে জানানো হয়েছে, প্রতি তিন-চার মাস অন্তরই ধাতু ও গাড়ি তৈরির অন্যান্য কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় যেহেতু গাড়ির দামও বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেক্ষেত্রে যদি জিএসটির হার কিছুটা কমানো হয়, তবে ফের একবার গাড়ির চাহিদা বাড়তে পারে। পুরনো বা ব্যবহৃত গাড়ির ক্ষেত্রেও জিএসটি হার কমিয়ে ৫ শতাংশ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।