আমেরিকা-কানাডা সীমান্তে মর্মান্তিক ঘটনা। অতিরিক্ত ঠান্ডায় জমে মৃত্যু হল চার ভারতীয়ের। তাঁদের মধ্যে একজন শিশুও ছিল বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার কানাডার মানিটোবা রয়্যাল মাউন্টেট পুলিশের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে ঘটনাটি জানানো হয়। এমারসনের কাছে দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক, একজন টিনেজার এবং একজন শিশুকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরিবারটি ভারতীয় বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
খবরটির ঘোষণা করতে গিয়ে আরসিএমপি-র অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার জেন ম্যাকল্যাচি বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে খবরটি জানাচ্ছি। বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। অতিরিক্ত ঠান্ডায় জমে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে।
আমেরিকা এবং কানাডা সীমান্তের ৯ থেকে ১০ মিটারের মধ্যে চারজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তুষারঝড়ের মধ্যে ফেঁসে গিয়েছিলেন তাঁরা। অন্ধকারের মধ্য়ে লাগাতার তুষারপাত হচ্ছিল। কোনওভাবে সীমান্ত পারাপারের সময় তাঁরা দুর্ঘটনাগ্রস্ত হন।’
জানা গিয়েছে, মার্কিন অভিবাসন দফতরের তরফে আগেই কানাডা প্রশাসনকে সীমান্তে চারজনের এক পরিবারের আটকে পড়ার খবর দেওয়া হয়েছিল। সেইমতো তল্লাশি চালিয়ে বৃহস্পতিবার চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় মানবপাচারের অভিযোগ উঠেছে। মিনেসোটা মার্কিন অ্যাটর্নি অফিসের তরফে এই মর্মে ফ্লোরিডা থেকে ৪৭ বছরের স্টিভ সান্দকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বৈধ কাগজ ছাড়া দুই ভারতীয়কে সীমান্ত পারাপার করায় অভিযুক্ত ছিল এই ব্যক্তি। আরও পাঁচ ভারতীয়কে সীমান্ত এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, ১১ ঘণ্টা ধরে হাঁটানো হয়েছে তাঁদের। চারজনের ওই পরিবারটিও তাঁদের সঙ্গেই হাঁটছিলেন বলে জানা গিয়েছে। বরফের মধ্যে শিশুটির খেলনা, জামাকাপড়, ডায়পার দেখে চিহ্নিত করা গিয়েছে তাঁদের।
গোটা ঘটনাটি নিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘কানাডা-আমেরিকা সীমান্তে এক পরিবারের চার সদস্যের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় শোকাহত। আমেরিকা ও কানাডায় ভারতীয় দূতদের এই বিষয়ে সন্ধান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ ইতিমধ্যেই টরন্টো থেকে প্রতিনিধিদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।