বছরের শুরুতেই কৈখালিতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড। দাউদাউ আগুনে প্রায় ভস্মীভূত রংয়ের কারখানায়। আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও ওই রং কারখানায় পৌঁছেছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে আগুন নেভানোর কাজ।
এদিকে, রং কারখানার পাশেই দমদম বিমানবন্দরের পাঁচিল। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, অগ্নিকাণ্ডের ফলে বিমান ওঠানামা ব্যাহত হয়নি। তবে বিমানবন্দর থাকায় বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু এবং স্থানীয় বিধায়ক অদিতি মুন্সি।
শনিবার সকালে কৈখালির ওই রং কারখানা থেকে কালো ধোঁয়া বেরতে দেখে যায়। মুহূর্তের মধ্যে প্রায় গোটা এলাকা ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। তারপরই সকলের নজরে আসে আগুনের লেলিহান শিখা। খবর দেওয়া হয় দমকলে।
তবে ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় দমকল পৌঁছতে বেশ খানিকটা সময় নষ্ট হয়। তা সত্ত্বেও খবর পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে প্রথমে দমকলের ২টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তবে আগুন ক্রমশ ছড়াতে শুরু করে। এখনও পর্যন্ত ঘটনাস্থলে দমকলের ইঞ্জিনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫।
দমকল কর্মীরা রঙের কারখানার দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন। তবে কালো ধোঁয়ার কারণে আগুনের উৎসস্থলে পৌঁছনো এখনও সম্ভব হয়নি। দমকল কর্মীদের অনুমান, কারখানায় দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠেছে।
জলের পাশাপাশি ফোম দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ চলছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, আগুন রংয়ের কারখানার পাশে গেঞ্জি কারখানায় ছড়িয়ে পড়েছে। আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও এড়ানো যাচ্ছে না। অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও জানা যায়নি।