এগিয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’-এর মোকাবিলা করতে প্রস্তুত রাজ্য প্রশাসন। বিপর্যয় মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিকে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে। বিপর্যয়ের সময় যাতে দ্রুত পদক্ষেপ করা যায় তার জন্য বিদ্যুৎ দফতরের ছুটি বাতিল করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ দফতরের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে একটি জরুরি বৈঠক করেন দফতরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বৈঠকে আধিকারিকদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন। ৪ থেকে ৭ই ডিসেম্বর বিদ্যুৎ দফতরের সর্বস্তরের কর্মীদের সব ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। শনিবার থেকে বিদ্যুৎ দফতরে চালু হচ্ছে হচ্ছে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম।
পাশাপাশি, শুক্রবার সকাল থেকে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে মাইকে প্রচারের মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দাদের সর্তক করছে প্রশাসন। উপকূলবর্তী ব্লক এবং পুরসভাগুলিতে মোটরচালিত করাত, দড়ি, গামবুট, হেলমেট, টর্চ ইত্যাদি সামগ্রী বিলি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকছে উপকূলরক্ষী বাহিনী। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বাহিনীর ১২টি বিপর্যয় মোকাবিলা দল কাজ করবে। প্রস্তুত থাকছে হেলিকপ্টার-সহ বাহিনীর আটটি ইউনিট। সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে ৭৫০টি মাছ ধরার নৌকা সমুদ্র থেকে ফিরে এসেছে। তবে, এখনও প্রায় আড়াইশো থেকে তিনশো নৌকা সমুদ্রে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে আটটি দল মোতায়েন করা হবে। যার মধ্যে দু’টি দল থাকবে কলকাতায়। এছাড়া দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হুগলী ও নদীয়ায় একটি করে দল মোতায়ন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা নিয়ে জেলার সমস্ত আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছে উত্তর ২৪ জেলা প্রশাসন। বঙ্গোপসাগের তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপ শনিবার সকালে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে উত্তর-অন্ধ্রপ্রদেশ এবং উড়িষ্যা উপকূলের মাঝামাঝি কোথাও আছড়ে পড়তে পারে বলে জানিয়ে হাওয়া অফিস। এর ফলে আগামী শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সঙ্গে বৃষ্টি হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।