ফের খবরে বিশ্বভারতী। উপাচার্যের দিল্লী সফরের মধ্যেই শোকজ করা হল অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত ও নিয়ম ভেঙে সংবাদ মাধ্যমের সামনে বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য রাখায় শোকজ করা হয়েছে তাঁকে এমনটাই জানা গিয়েছে।
এর আগে একাধিকবার সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে বিশ্ব-বিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিতে দেখা গিয়েছিল। এরপর থেকে কর্তৃপক্ষের তরফে একের পর এক শোকজ করতে দেখা যায় তাঁকে। আর এইবার সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খোলা নিয়ে শোকজ করা হল সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে অধ্য়াপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে সাসপেন্ড করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই সাসপেনশন পূর্ণ হওয়ার কথা ছিল সেপ্টেম্বরে। তার আগে ফের নতুন করে অধ্য়াপককে নিলম্বিত করায় প্রশ্নের মুখে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। পাঠভবনের অধ্যাপিকা নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে আনায় অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে সাসপেন্ড করে কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর তত্ত্বাবধানে কর্মসমিতির বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।বিশ্বভারতীর পাঠভবনের অধ্যাপিকা বধিরুপা সিংহের নিয়োগ সঠিক পদ্ধতি মেনে হয়নি। নিয়োগে একাধিক বেনিয়ম ছিল। এমনই অভিযোগ তুলে বিশ্বভারতীর আচার্য প্রধানমন্ত্রী, পরিদর্শক তথা রাষ্ট্রপতি, এবং প্রধান তথা রাজ্যপাল-সহ উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে চিঠি দিয়েছিলেন অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। তারই ফলস্বরূপ তাঁকে সাসপেন্ড করা হয় বলে অভিযোগ। সাসপেন্ড কারণ হিসাবে বলা হয়, অধ্যাপক সুদীপ্তবাবু একটি অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার আগেই তা জনসমক্ষে এনেছেন। যার ফলে অধ্যাপিকার মানহানি হয়েছে।