এখনও পর্যন্ত ভারতের তৈরি করোনা টিকা কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দেয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনও গত জুনে জরুরি ভিত্তিতে কোভ্যাক্সিনের ব্যবহারের প্রস্তাব খারিজ করে দেয়। ফলে কোভ্যাক্সিন টিকা নিয়ে মার্কিন মুলুকে কার্যত প্রবেশ নিষেধ। কোনও ভারতীয় কোভ্যাক্সিন টিকা নিয়ে থাকলে, সেটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ বলেই গণ্য হবে। কিন্তু তারপরেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কীভাবে আমেরিকায় গেলেন, তা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন কুণাল ঘোষ। মোদী কোভ্যাক্সিন টিকা নিয়েছেন, অথচ তা আমেরিকা সফরের ক্ষেত্রে বাধা হল না। এই সমস্যার সমাধান কী করে হল? প্রশ্ন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের।
বৃহস্পতিবার একটি টুইটে মোদীর মার্কিন সফর নিয়ে কুণাল লেখেন, ‘মোদীজি কোভ্যাক্সিন টিকা নিয়েছেন। কিন্তু, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোভ্যাক্সিন টিকা এখনও বৈধ নয়। তাহলে তিনি কোন ভ্যাকসিন নিয়েছেন? কোভ্যাক্সিন নিয়ে থাকলেও কি তবে মার্কিন মুলুকে যাওয়া যাবে? এই সমস্যার সমাধান প্রধানমন্ত্রী কী ভাবে করলেন? সকলেরই তা জানা প্রয়োজন। কারণ, কোভ্যাক্সিনের এই সমস্যা রয়েই গিয়েছে।’ উল্লেখ্য, গত ১ মার্চ দেশে টিকাকরণ শুরুর পরই দিল্লীর এইমস হাসপাতালে কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে তিনি গ্রহণ করেন ভারত বায়োটেকের এই টিকার দ্বিতীয় ডোজও।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য আধিকারিকদের দাবি, আগামী মাসের ৫ তারিখে কোভ্যাক্সিনের স্বীকৃতি সংক্রান্ত বৈঠক হবে। তবে ছাড়পত্র না মেলা পর্যন্ত হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেকের তৈরি প্রতিষেধকটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ নয়। আর এখানেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তবে কি জো বাইডেনের দেশে গিয়ে ১৫ দিনের আইসোলেশনে থাকতে হবে নরেন্দ্র মোদীকে? এ প্রশ্নের অবশ্য সাফাই দিয়েছে কেন্দ্র। সূত্রের বক্তব্য, দেশের প্রধানমন্ত্রী ও অন্য প্রতিনিধিদের ক্ষেত্রে জরুরি বিষয়ে বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় রয়েছে। স্বীকৃতিহীন টিকা নিলেও সরকারি কাজে বিদেশে যেতে পারেন তাঁরা। এমনকী, টিকার একটি ডোজ গ্রহণ করলেও বিদেশ সফরে ছাড় রয়েছে মোদীর।