এবার ফের খবরের শিরোনামে উঠে এল বহু বিতর্কিত পিএম কেয়ার্স। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাধের পিএম কেয়ার্স ফান্ড ভারত সরকারের তহবিল নয় এবং তার অর্থ কনসলিডেটেড ফান্ড অব ইন্ডিয়ায় পড়ে না। দিল্লী হাইকোর্টকে এমনটাই জানানো হয়েছে। ওই ফান্ডকে তথ্য জানার অধিকার আইনের আওতায় পাবলিক অথরিটি বা সরকারি হিসাবে নিয়ে আসা যাবে না, এ-ও জানিয়েছে কেন্দ্র। আইনের আওতায় ওই ফান্ড চ্যারিটেবল ট্রাস্ট বলে স্বীকৃত।
প্রসঙ্গত, পিএম কেয়ার্স ফান্ডকে সংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদের আওতায় সরকারি বলে ঘোষণার আর্জি জানিয়ে একটি পিটিশন পেশ হয়েছে। পিটিশনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী একটি ফান্ড গড়েছেন, তার ট্রাস্টি হলেন প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও অর্থমন্ত্রীর মতো লোকজন। কিন্তু সেই ফান্ডের ওপর কোনও সরকারি নিয়ন্ত্রণ নেই বলে জানানো হয়েছে। এতে দেশবাসী ক্ষুব্ধ।
জনৈক সম্যক গাঙ্গওয়ালের দাখিল করা পিটিশনে বলা হয়েছে, ২০২০ র মার্চে প্রধানমন্ত্রী কোভিড ১৯ মহামারীতে বিপর্যস্ত দেশবাসীকে সাহায্য করার মতো মহান উদ্দেশ্য নিয়ে পিএম কেয়ার্স ফান্ড গঠন করেন এবং তাতে বিপুল পরিমাণ ডোনেশনও জমা পড়ে। কিন্তু ২০২০ সালের ডিসেম্বর পিএম কেয়ার্স ফান্ডের ওয়েবসাইটে ট্রাস্ট ডিডের একটি কপি পোস্ট করা হয়, যাতে বলা হয়েছে, ওই ফান্ড সংবিধান বা সংসদে পাশ হওয়া কোনও আইনের আওতায় গঠিত হয়নি।
এরপরেই দেশের বিরোধী রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে আইনজীবী, সমাজকর্মীরাও ফান্ডে জমা পড়া ডোনেশনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এহেন পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের (পিএমও) আন্ডার সেক্রেটারি প্রদীপ কুমার শ্রীবাস্তব জবাব দিয়েছেন, ওই ট্রাস্ট ‘সরকারি’ বা সংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদের আওতায় অথরিটি বা তথ্য জানার অধিকার আইনের ২ (এইচ) ধারা, ৮ ধারা, সাব সেকশন ই ও জে-র আওতায় পাবলিক অথরিটি যা-ই হোক না কেন, তৃতীয় পক্ষের কোনও তথ্য প্রকাশের অনুমতি নেই।