সদ্য জম্মু-কাশ্মীরে বড়সড় নাশকতার ছক ফাঁস করেছে সেনাবাহিনী। গত সোমবার উরি সেক্টরে জঙ্গি অনুপ্রবেশের পরই বৃহস্পতিবার ভোররাতে শোপিয়ানে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে এক সন্ত্রাসবাদী।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, শোপিয়ান জেলার কেশওয়া এলাকায় জঙ্গিদের ডেরায় হানা দেয় সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর একটি যৌথদল। আটকে পড়া জেহাদিকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হলেও সে গুলি চালাতে শুরু করে। তার গুলিতে এক নিরীহ নাগরিক আহত হয়েছেন।
তারপরই সেনাবাহিনীর পালটা হামলায় নিহত হয় ওই জঙ্গি। মৃত সন্ত্রাসবাদীর নাম অনায়ত আশরফ দার বলে জানা গিয়েছে। তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও বেশ কিছু গুলি পাওয়া গিয়েছে। ওই এলাকায় লুকিয়ে থাকা বাকি সন্ত্রাসবাদীদের খোঁজে অভিযান চালাচ্ছে সেনা।
কয়েকদিন আগেই এক গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর টেরর লঞ্চপ্যাডগুলিকে সক্রিয় করেছে পাক সেনা। সেখান থেকে জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তইবার জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে পারে। উল্লেখ্য, গ্লোবাল জেহাদ’ বা বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর পাকিস্তান।
সোভিয়েত ইউনিয়নের আফগানিস্তান অভিযানের সময় আমেরিকার টাকায় মুজাহিদ তৈরি করেছিল আইএসআই। তারপর ‘ভারতপন্থী’ মুজাহিদদের শিক্ষা দিতে তালিবান তৈরি করে দেশটি। ৯/১১ পরবর্তী বিশ্বে আফগানভূমে মার্কিন ‘মিত্রজোটে’ নাম লেখালেও গোড়া থেকেই তালিবানকে মদত দিচ্ছে ইসলামাবাদ। ফলে এবার তালিবানের মদতে ভারতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বাড়িয়ে তুলবে পড়শি দেশটি বলে আশঙ্কা করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা।
সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের উরিতে বড়সড় নাশকতার ছক পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের। রবিবার এবং সোমবার রাতে সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করেছে একাধিক জঙ্গি। লক্ষ্য উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী হামলা। আর সেই হামলা রুখতে তৎপর ভারতীয় সেনা।