বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, শচীন তেণ্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়দের আর ‘ব্যাটসম্যান’ বলা যাবে না। ক্রিকেটের ‘রুলবুক’ থেকেই ‘ব্যাটসম্যান’ শব্দটি একপ্রকার উঠে গেল। পরিবর্তে এবার থেকে ব্যবহার করতে হবে ‘ব্যাটার’। বুধবার এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে এমসিসি। ক্রিকেট থেকে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১৭৪৪ সাল থেকে ক্রিকেটে ব্যাটসম্যান শব্দটি প্রচলিত। ক্রিকেটে এতদিন যিনি বা যাঁরা ব্যাট করতে নামতেন, তাঁদের বলা হত ‘ব্যাটসম্যান’। মহিলা ক্রিকেটেও এই ‘ব্যাটসম্যান’ শব্দটিই ব্যবহার করা হয়। কিন্তু অনেকের মতে এই ‘ব্যাটসম্যান’ শব্দটি লিঙ্গ বৈষম্যমূলক। কারণ মহিলা ক্রিকেটের ক্ষেত্রে যাঁরা ব্যাট করেন, তাঁদের ‘ব্যাটসম্যান’ বলা চলে না।
এমনিতে মেরিলিবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবই ক্রিকেটের নিয়ম সংশোধনের কাজটি করে থাকে। বুধবার তাঁরাই জানিয়েছে, এবার থেকে পুরুষ এবং মহিলা সব ক্রিকেটেই ‘ব্যাটার’ শব্দটি চালু করা হবে। ২০১৭ সালে যখন শেষবার এ বিষয়ে আলোচনা হয়, তখন আইসিসি এবং মহিলা ক্রিকেটের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার পর ঠিক হয়েছিল, আপাতত ‘ব্যাটসম্যান’ শব্দটিই ব্যবহার করা হবে।
কিন্তু তারপর মহিলা ক্রিকেট অনেকটা বিস্তার লাভ করেছে। তাই এমসিসির মনে হয়েছে, সব ফরম্যাটের ক্রিকেটে ‘ব্যাটার’ শব্দটির ব্যবহার শুরু করার এটাই সঠিক সময়। তাছাড়া ‘ব্যাটার’ শব্দটি ব্যবহার করলে বোলার এবং ফিল্ডারের সঙ্গে সামঞ্জস্যও থাকে।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই অঘোষিতভাবে মহিলা ক্রিকেটে ব্যাটার শব্দটি ব্যবহার করা হয়। সদ্য ইংল্যান্ডে আয়োজিত হওয়া ‘দ্য হান্ড্রেড’ টুর্নামেন্টে প্রথমবার পুরুষদের ক্রিকেটেও ব্যাটার শব্দটি ব্যবহার শুরু হয়েছে। এবার সব ধরনের ক্রিকেটেই এই শব্দটি ব্যবহার করা হবে।
ব্যাটসম্যান শব্দটা শুধুই ছেলেদের জন্য প্রযোজ্য। এই শব্দটি ব্যবহারের ফলে খেলাটিকে ‘পুরুষকেন্দ্রিক’ মনে হয়। তাই অনেক আলোচনার পর এমসিসির তরফে ঠিক করা হয়েছে, এবার থেকে পুরুষ এবং মহিলা ক্রিকেট নির্বিশেষে যাঁরা ব্যাট করেন, তাঁদের সবাইকেই ‘ব্যাটার’ বলে অভিহিত করা হবে।