পেগাসাস বিতর্কে বৃহস্পতিবার উত্তাল হয়েছিল রাজ্যসভা। সেই জেরে বাদল অধিবেশন থেকে বরখাস্তও হতে হয় তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনকে। কিন্তু সেইদিন এক মারাত্মক অভিযোগ করেন সাংসদ। রাজ্যসভার কক্ষে তাঁকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
তাঁর অভিযোগ, অধিবেশন মুলতুবি হওয়ার পর নাকি তাঁকে গালিগালাজ করে ডেকে অপমান করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। শুধু তাই নয়, শান্তনুর অভিযোগ, তাঁকে হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। কিন্তু এইসব কোন কিছুই প্রমাণ করতে পারেনি এই বিরোধী দল তৃণমূল। কারণ ঠিক সেই মুহূর্তের আগেই রাজ্যসভা মুলতুবি হয়ে যায় এবং লাইভ সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এবার এই সময়ের ভিডিও ফুটেজ দেখতে চেয়ে কেন্দ্রীয় তথ্য আধিকারিককে আরটি আই, ২০০৫ আইনের অধীনে চিঠি লিখলেন সমাজকর্মী সাকেত গোখলে। একথা নিয়ে টুইট করে জানিয়েছেন তিনি।
চিঠিতে সাকেত জানতে চেয়েছেন ১। রাজ্যসভার ২২ জুলাইয়ের দুপুর ২- ২ঃ২০- র ভিডিও ফুটেজ দেওয়া হোক। ২। ওই একই সময়ের রাজ্যসভার সমস্ত অডিও ফুটেজও দেওয়া হোক।
প্রসঙ্গত, ২২ জুলাই রাজ্যসভায় বিবৃতি পাঠ করতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। অভিযোগ, মন্ত্রীর হাত থেকে বিবৃতির কাগজ ছিনিয়ে নিয়ে তা ছিঁড়ে ফেলেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। ঘটনার জেরে শান্তনুকে সাসপেন্ডও করা হয়।
তৃণমূলের তরফ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, দিনের কার্যাবলী বা লিস্ট অফ বিজনেসে নথিভুক্ত না করেই সরকারের তরফে শান্তনু সেনকে সাসপেন্ড করতে প্রস্তাব পেশ করে বিজেপি। কোন আলোচনা না করেই তাতে সায় দিয়ে দেন চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। শান্তনু সেনকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয় না। তৃণমূলের তরফে ডেরেক ও’ব্রায়েন প্রতিবাদ জানালে তাকেও বলতে দেওয়া হয়না। এরপর দফায় দফায় মুলতুবি হয় সেদিনের রাজ্যসভার কার্যপ্রণালী।