দলীয় বৈঠকে কড়া বার্তা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক তথা লোকসভা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সংসদের অধিবেশনে ১০০ শতাংশ হাজিরা দিতে হবে সাংসদদের। সোমবার দলীয় সাংসদদের নিয়ে ফের এক দফা বৈঠক সারলেন তিনি। গত পাঁচদিনের মধ্যে সাংসদের সঙ্গে এটা তাঁর তৃতীয় বৈঠক। উল্লেখ্য, সোমবার বিকেল ৪টে নাগাদ সংসদের মিটিং হলে দলীয় সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে বসেন অভিষেক। বৈঠক চলে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত। হাজির ছিলেন দুই কক্ষের তৃণমূল সাংসদেরা। সকলের বক্তব্য পেশের পর বক্তব্য রাখেন ডায়মণ্ড হারবারের সাংসদ। বলেন, অধিবেশনে দলীয় সাংসদদের সবসময় হাজির থাকতে হবে। উপস্থিতি হতে হবে ১০০ শতাংশ। শুধু তাই নয়, পেগাসাস কাণ্ডকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রকে কোণঠাসা করার ব্লুপ্রিন্ট এঁকে দেন তিনি। সাংসদদের জানিয়ে দেন, পেগাসাস কাণ্ড নিয়ে দুই কক্ষেই ঝড় তুলতে হবে তাঁদের। সংসদে এই আন্দোলনে অগ্রভাগে থাকতে হবে তৃণমূলকেই। অভিষেক আরও জানান, লোকসভায় এই ইস্যুতে মোদী সরকার বিরোধিতায় নেতৃত্ব দেবেন তিনি।
এগুলো যে নিছক কথার কথা নয়, তা খানিকটা এদিনই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। এদিন দেখা যায়, মাঝে বৈঠক বন্ধ রেখে রাজ্যসভার অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন সাংসদেরা। ফিরে এসে বসেছেন বৈঠকে। যা দেখে রাজনৈতিক মহল বলছে, এবার স্রেফ সংসদের বাইরে নয়, অন্দরেও মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়াচ্ছে তৃণমূল। এদিকে এদিনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরসঙ্গী হিসেবে দিল্লী পৌঁছোচ্ছেন মুকুল রায়। আর রাজধানীতে পৌঁছেই শুরু করে দিয়েছেন সংগঠন গোছানোর কাজ। তৃণমূলে ফেরার পর থেকেই দলছাড়াদের ফের ঘাসফুল শিবিরে ফেরানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। এদিন দেখা যায়, দিল্লীতে নিজের বাসভবনে পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মণ্ডলের সঙ্গে বৈঠক করেন। উল্লেখ্য, সুনীল মণ্ডল একুশের ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। বাংলার বোটে মুখ থুবড়ে পড়ার পর থেকেই বিজেপিতে বেসুরো সুনীল। এবার কি তবে তৃণমূলে ফিরছেন সুনীল, এদিনের বৈঠক সেই জল্পনাই উসকে দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।