করোনা অতিমারীর জেরে চাহিদায় ভাটা পড়েছে আগেই। বাড়তি জিএসটি-র কোপে কাঁচামাল, উৎপাদনের খরচ বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। ৭০০-৭৫০ টাকার সুতো বাড়তি জিএসটি জুড়ে এখন ১,৩০০-১,৪০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। পাশাপাশি, মাসখানেক বাদেই পুজো। এক মাস পর থেকেই পুজোর বাজারের তোড়জোড় শুরু হয়েছে যাবে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় খুঁটিপুজো শুরু হয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই দুশ্চিন্তায় বাংলার শাড়ি, হোসিয়ারির পাইকারি বিক্রেতারা। শাড়ি, হোসিয়ারির খদ্দের পাওয়াই মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁদের পক্ষে।
প্রসঙ্গত, অধিকাংশ তাঁতের শাড়ি বা হোসিয়ারির পাইকারি ও খুচরো বিক্রেতাদের জিএসটি রেজিস্ট্রেশনও নেই। ফলে তাঁতের শাড়ি বা হোসিয়ারির পন্যের পাইকারি বিক্রির ক্ষেত্রে তাঁদের লোকসান হচ্ছে অনেকটাই। ধনেখালি, শান্তিপুরের তাঁত কারবারি থেকে বারাসত, বেলঘরিয়ায় হোসিয়ারি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সকলেরই এক অবস্থা। দিনে ৩০০-৪০০ টাকার মজুরি, তার উপর চড়া দামের কাঁচামাল। সব মিলিয়ে ক্রেতার দাম জুগিয়ে ঘরে দু পয়সার মুনাফা তুলতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে বাংলার এই কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত কয়েক হাজার মানুষকে।
উল্লেখ্য, শাড়ি থেকে হোসিয়ারি— সর্বত্রই ব্যবসায়ীদের হহাল মোটামুটি এক রকম। মহাজনের থেকে বাকিতে আনা সুতো, রং ও অন্যান্য কাঁচামালের দাম শোধ করে, কারিগরদের মজুরি দিয়ে কোন উপায়ে লাভ তুলবেন, তা ভেবে দিশেহারা তাঁরা। তাই পুজোর আগে নতুন মাল বানানোর তোড়জোড় তো দূরের কথা, আগের বানানো শাড়ি বা হোসিয়ারির মালই এখন বিক্রি করতে মরিয়া চেষ্টা চালানো হচ্ছে।