একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই ফের রাজনৈতিক অলিন্দে গুঞ্জন শুরু হয়েছে দলবদলুদের নিয়ে। আর সেই চর্চার মধ্যমণি হয়ে বিরাজ করছেন হাওড়ার ডোমজুরের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী এবং একদা ওই কেন্দ্র থেকে জিতে বিধায়ক ও মন্ত্রী হওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির টিকিটে ভরাডুবির পর ফের একবার তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। বৃহস্পতিবার তাঁকে দেখা গেল উত্তর ২৪ পরগনার বীজপুরে মুকুল রায়ের স্ত্রীর শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে। আর তাতেই জল্পনার অগ্নিতে ঘি-সংযোগ।
মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণা রায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে তাঁর উপস্থিতির সঙ্গে অবশ্য রাজনীতির যোগ মানতে রাজি হননি রাজীব। তিনি বলেন, ‘মুকুলদাকে অনেকদিন চিনি। বউদির সঙ্গেও পরিচয় ছিল। অনেক কথা হয়েছে। ওনার অসুস্থতার সময় হাসপাতালে গিয়েছি। আজ এখানে এসেছি তাঁর আত্মার শান্তি কামনায়।’ এদিন অবশ্য রাজনীতি নিয়ে কোনও কথা বলেননি রাজীব। ইঙ্গিতপূর্ণভাবে নিজের নীরবতার ব্যাখ্যা দেন তিনি। বলেন, ‘রাজনীতিতে কখনও কখনও চুপ থাকতে হয়।’
করোনা পরবর্তী শারীরিক জটিলতায় গত ৬ জুলাই চেন্নাইয়ে মৃত্যু হয় মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণা রায়ের। বৃহস্পতিবার ছিল তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান। সেখানে হাজির হন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত, সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত নেতামন্ত্রীদের মধ্যে দেখা মেলে রাজীবেরও। যাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই চলছে জোর চর্চা।