একুশের ভোটে ভরাডুবির পর থেকেই দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠে গেছে তাঁর ভূমিকা নিয়ে। তিনি তৃণমূলে ফিরছেন নাকি বিজেপিতেই থাকছেন, ‘বেসুরো’ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের গতিবিধি নিয়ে অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। তাঁর একের পর এক ফেসবুক পোস্ট এবং মন্তব্য নিয়ে মাথাচাড়া দিয়েছে জল্পনা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বিষয়টিকে মোটেও ভাল চোখে দেখছেন না। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান স্পষ্ট করা উচিত বলেই দাবি তাঁর।
প্রসঙ্গত, যাবতীয় জল্পনাকে সত্যি করে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ডোমজুড় কেন্দ্র থেকে প্রথমবার বিজেপির হয়ে নির্বাচনী লড়াইতেও অবতীর্ণ হন তিনি। তবে জয়ের হাসি হাসতে পারেননি। তারপর থেকে বিজেপিতে ‘বেসুরো’ রাজীব। তবে কি ফের শাসকদলে ফিরতে চাইছেন রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী? সেই জল্পনাকে জিইয়ে রেখেছেন খোদ রাজীবই।
ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকে তাঁর একের পর ফেসবুক পোস্ট এবং মন্তব্যের ফলে এই জল্পনা যেন আরও জোরাল হচ্ছে। তারই মাঝে কুণাল ঘোষের বাড়িতেও দেখা যায় তাঁকে। বুধবার সকালে সদ্য স্ত্রী হারা মুকুল রায়ের বাড়িতেও গিয়েছিলেন রাজীব। বেশ কিছুক্ষণ সপুত্র মুকুল রায়ের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। যদিও এই সাক্ষাৎকে সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক বলেই দাবি করেছেন রাজীব। তবে রাজীবের যুক্তি মানতে রাজি নন রাজনৈতিক মহলের অনেকেই।
এই প্রেক্ষাপটে বুধবার বিকেলে ফের রাজীবের একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে নয়া বিতর্ক দানা বেঁধেছে। সরাসরি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে খোঁচা দিয়ে তিনি ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ না করে মানুষের দুর্দশা কমান।’ এ প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘কিছু কিছু লোক আছেন তাঁরা ঠিক করতে পারছেন না, কী করবেন, কোথায় যাবেন। তিনি দলের কোনও পদাধিকারী নন। তাঁর অবস্থান স্পষ্ট হওয়া উচিত।’