প্রথমে পিছিয়ে থেকেও শেষমেশ মাত্র ৫৭ ভোটে দিনহাটা কেন্দ্রে জিতেছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। কিন্তু বুধবার ওই কেন্দ্রের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। ফিরে যাচ্ছেন সংসদের চৌহদ্দিতেই। ফলে উপনির্বাচন অবশ্যম্ভাবী দিনহাটায়। এই পরিস্থিতি নিয়ে আক্ষেপের সুর সেখানের পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহের গলায়। ঘটনাচক্রে, ফল ঘোষণার পর সংঘর্ষে হাত ভেঙেছিল উদয়নের। তার পর নানা পর্ব পেরিয়ে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন দিনহাটার তৃণমূল নেতা। বৃহস্পতিবারই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি।
বিধায়ক পদ থেকে নিশীথের ইস্তফার সঙ্গেই বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন রানাঘাটের সাংসদ শান্তিপুর বিধানসভায় জয়ী বিজেপির জগন্নাথ সরকারও। বুধবার দুই বিজেপি সাংসদ যখন ইস্তফা দিচ্ছেন, তখনই ভাঙা ডান হাতে অস্ত্রোপচার হয়েছে উদয়নের। নিশীথের ইস্তফার খবর পেয়ে ফোনে বলেছিলেন, ‘আমরা তো বলেছিলাম, যদি ও জেতে, তা হলে হয় বিধানসভা না হলে লোকসভা, যে কোনও একটা নির্বাচন হবেই। আমাদের হয়তো ব্যর্থতা যে আমরা মানুষকে এটা ঠিক মতো বোঝাতে পারিনি। বাস্তবে তো সেই ঘটনাই ঘটল। এ বার জনগণই বিচার করবেন।’
তবে নিশীথের পদত্যাগের সিদ্ধান্তে বেজায় বিরক্ত উদয়ন। বলেন, ‘ও দাঁড়ালই বা কেন! আর ফল ঘোষণার ১০ দিনের মাথায় পদত্যাগই বা করল কেন! কীসের জন্য পদত্যাগ করল জানি না।’ একই সঙ্গে দিনহাটার জনগণের উদ্দেশে রাজনৈতিক বার্তাও দিয়েছেন উদয়ন। তাঁর কথায়, ‘কবে ভোট হবে জানি না। তবে আপাতত দিনহাটায় কোনও বিধায়ক নেই। এখন সইসাবুদ বা কোনও প্রয়োজন পড়লে এই লম্বা সময়ে দিনহাটার মানুষ কোনও বিধায়ককে পাচ্ছেন না। দেখা যাক, তাঁরা কী সিদ্ধান্ত নেন।’
উল্লেখ্য, দিনহাটা থেকে ফরওয়ার্ড ব্লকের টিকিটে টানা ছ’বার জিতেছিলেন উদয়নের বাবা কমল গুহ। উদয়নও ২০১১ সালে জয় পান ফরওয়ার্ড ব্লকের হয়ে। পরে যোগ দেন তৃণমূলে। জয়ী হন ২০১৬-তেও। কিন্তু ২০২১-এ মাত্র ৫৭ ভোটে হার মানতে হয়েছে তাঁকে। দিনহাটার উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন? উদয়নের জবাব, ‘অস্ত্রোপচার হয়ে গিয়েছে। তাড়াতাড়ি ছুটি দিয়ে দেবেন চিকিৎসক। দল যদি চায়, তা হলে আবার লড়াইয়ে নামব।’