ঠিক যেন গত বছরের এই সময়েরই পুনরাবৃত্তি! ২০২১-র মার্চের শেষ থেকেই প্রবল হারে গোটা দেশে বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা। এমতাবস্থায় এবারও শক্ত হাতে করোনার বিরুদ্ধে লড়ার কথাই বলছে কেন্দ্র এবং প্রতিটি রাজ্যের সরকার। শনিবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর এমনটাই বলেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু দেশে করোনা পরিস্থিতি গত বছরের তুলনায় অনেকটাই বেশি ভয়াবহ। সাধারণ মানুষের অবহেলার সুযোগ নিয়েই চোখ রাঙাচ্ছে মারণ ভাইরাসটি।
আর রবিবারের বুলেটিন বলছে, দেশে প্রথমবার একদিনে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা পেরিয়েছে আড়াই লক্ষের গণ্ডি। রবিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২ লক্ষ ৬১ হাজার ৫০০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এর বেশিরভাগটাই যে মহারাষ্ট্রের, সেটা বলাই বাহুল্য। মহারাষ্ট্র ছাড়াও পাঞ্জাব, কর্ণাটক, ছত্তিশগড়, দিল্লী, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলির করোনা আক্রান্তের হারও রীতিমতো উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এমনকি শনিবারই করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর দেন বলিউড অভিনেতা সোনু সুদ। আপাতত হোম কোয়ারেন্টাইনেই রয়েছেন তিনি।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা-মুক্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ৪২৩ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ১ কোটি ২৮ লক্ষ ৯ হাজার ৬৪৩ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। টিকা পেয়েছেন ১২ কোটি ২৬ লক্ষেরও বেশি মানুষ। কিন্তু টিকাকরণেও যেন বাগে আনা যাচ্ছে না করোনাকে। সেই কারণেই নতুন করে দেশের একাধিক শহর আংশিক লকডাউনের পথে হেঁটেছে। প্রশ্ন উঠছে, সংক্রমণ এভাবে বাড়তে থাকলে কি ফের দেশজুড়ে লকডাউন হবে?
আজ, রবিবার উত্তরপ্রদেশে ফের চিকিৎসক ও উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেটাই দেখার। এদিকে, টিকাকরণের পাশাপাশি করোনা রোগী চিহ্নিত করতে বিপুল হারে টেস্টিংও চলছে। আইসিএমআর-র রিপোর্ট বলছে, গতকাল ১৫ লক্ষ ৬৬ হাজার ৩৯৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। তবে শুধু বাড়তে থাকা সংক্রমণই নয়, চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনার নয়া স্ট্রেনও। সব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেই আজকের এই বৈঠক বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।