বাংলায় ভোটের মরসুমে ক্রমশ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে করোনা ভাইরাস। তবে রাজনৈতিক দলগুলি সভা-মিছিল এখনও চলছে। আর প্রাণের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও সেখানে জড়ো হচ্ছেন বহু মানুষ। আজ, রবিবারেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাতে স্বাভাবিকভাবেই ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। আর তা দেখেই দুঃখ প্রকাশ করলেন যুব তৃণমূল সভাপতি। বললেন, “করোনা পরিস্থিতিতে এত জমায়েত দেখে আনন্দের পরিবর্তে খারাপ লাগছে।”
গোটা দেশের মতো বাংলাতেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। নিয়মিত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের কয়েক হাজার মানুষের শরীরে থাবা বসাচ্ছে মারণ ভাইরাস। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মাস্ক, স্যানিটাইজারের মতোই গুরুত্বপূর্ণ হল সামাজিক দূরত্ব পালন করা। কিন্তু ভোটের আবহে জয়ামেত এড়ানো যাচ্ছে না। যে কোনও রাজনৈতিক সভাতেই উপচে পড়ছে ভিড়। শনিবার মোদীর সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন বহু মানুষ। সেই ভিড় দেখে উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছিলেন, “খুব ভাল লাগছে।”
কিন্তু আজ মোদীর এই মন্তব্যেরই নিন্দা করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, “করোনা নিয়ে আমরা চিন্তিত। জনসভায় এত লোক দেখে আমার খারাপ লাগছে। কারণ, এই ভিড় ভাল লাগা কখনোই সম্ভব নয়। অথচ দেখুন জনসভায় ভিড় দেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলছেন, তাঁর নাকি খুব ভাল লাগছে। বাংলার মানুষ এই প্রধানমন্ত্রীকে চাইবেন? কখনই না।” উল্লেখ্য, বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শ্যামল রায়ের সমর্থনে আয়োজিত আজকের এই নির্বাচনী জনসভা থেকে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য সরাসরি দিল্লীর বিজেপি নেতাদের নিশানা করেন অভিষেক।
মমতার পথে হেঁটে তিনি বলেন, “দিল্লী থেকে বহিরাগত নেতারা রাজ্যে আসছেন। তাঁরাই রাজ্যে করোনা ছড়াচ্ছেন। করোনার বিপদ থেকে রেহাই পাওয়ার জন্যই আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি করেছিলাম, শেষ তিন দফার ভোট একদিনে করা হোক। কিন্তু বিজেপি সেটা চায়নি। বিজেপির নেতারা চাইছেন, তাঁরা দিল্লী থেকে রাজ্যে আসবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গালাগাল করবেন। যেন তেন প্রকারেণ তাঁরা বাংলা দখল করবেন। তাঁদের বড় বড় জনসভা হবে। তাতে যে করোনার সংক্রমণ বাড়তে পারে। সে ব্যাপারে বিজেপি নেতাদের কোনও মাথাব্যথা নেই।”