শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার জনের মৃত্যুর ঘটনায় এখনও উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই ওই ঘটনায় সুর চড়িয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ক্ষমতায় আসা মাত্রই নিজে দায়িত্বে থেকে ওই ঘটনার তদন্ত করাবেন তিনি। এমনকী সিআইএসএফ থেকে তিনি সেইসব নামও বের করে নিয়েছেন, যারা গুলি চালিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের পঞ্চম দফার ভোটেও গুলি চালাল কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে, তা কাউকে লক্ষ্য করে নয়, শূন্যে।
ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দেগঙ্গার ২১৫ নম্বর বুথের প্রায় ৫০০ মিটার দূরে একটি আমবাগানের মধ্যে এলাকারই কয়েকজন বসে গল্প করছিলেন। তাঁদের কোনও কথা না শুনেই সেখানে প্রায় চার-পাঁচ রাউন্ড শূন্য গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। এমনকী পুলিশ গিয়ে তাঁদের মারধরও করেছে বলে অভিযোগ। তাতে প্রায় সাতজন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। ঘটনার পরপরই বুথের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা।
অপরদিকে, দেগঙ্গায় ৮১ নম্বর বুথের সোহাইস্বেতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ভোটারদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এলাকায় উত্তেজনাও রয়েছে। আবার নদিয়ার শান্তিপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় মানুষজন। বিশেষত মহিলারা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
এদিকে, খণ্ডঘোষের ২০ নম্বর সেক্টর অফিসার অর্পণ রায়ের বিরুদ্ধে বিজেপি-কে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল।