বুধবার কাঁথির সভায় বহিরাগত ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ঝাঁঝালো আক্রমণ শানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদীর মন্তব্যের কিছু সময় পরেই বিষ্ণপুরের সভা থেকে মোদীকে পাল্টা নিশানা করে মমতা বলেন, ‘বহিরাগত গুন্ডা কারা? জবাব দিন। বহিরাগত গুন্ডাদের নিয়ে আসছে। যারা বাংলায় থাকেন তাঁদের বহিরাগত বলি না। সে রাজস্থানি হোক, তামিল হোক বা অন্য কেউ। উত্তরপ্রদেশের গুন্ডাদের এখানে পাঠিয়ে দিচ্ছে। কপালে তিলক দিয়ে পান চিবোতে চিবোতে এখানে আসছে। বাংলার সংস্কৃতি নষ্ট করছে।’
মোদীকে নিশানা করে মমতা আরও বলেন, ‘অন্য ফুল নয়, জোড়াফুলে ভোট দিন। প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার সম্মান করি। কিন্তু মোদীর মতো এতবড় মিথ্যাবাদী একটাও দেখিনি। শুধু মিথ্যা কথা বলে। মোদী, শাহ, আদানি, তিনটি সিন্ডেকেট। আলু পেঁয়াজ সব লুঠ করে নেবে। তিনজনে মিলে খাবে শুধু।’ উদাহরণ হিসাবে বলেন, ‘সপ্তম পে কমিশনের কথা বলেছে বিজেপি। এদিকে ত্রিপুরায় প্রভিডেন্ট ফান্ড তুলে দিল। মিথ্যেবাদীর দল বিজেপি’।
টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ভোট চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থী সুখময় শতপথীর বিরুদ্ধে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও। এই ঘটনাকে কটাক্ষ করেন মমতা, ‘টাকা দিলে নেবেন কি নেবেন না আপনার ব্যাপার। ওটা আপনার টাকা। তবে টাকা নিলেও ভোট দেবেন না। ওরা বলতে পারে, ‘কোথায় ভোট দিচ্ছিস, দেখতে পাব’। মিথ্যে কথা। কিচ্ছু দেখতে পাবে না। তাই যদি বলে খরচ দিচ্ছি। ওদের খরচ করে দেবেন। ভোটটা জোড়া ফুলেই দেবেন’।
জঙ্গলমহলের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে মমতা বলেন, ‘জঙ্গলমহলে রোজ রক্ত ঝড়ত। এখন বলুন তো জঙ্গলমহলে মানুষ মরছে। বাঁকুড়া ভাল আছে তো? জঙ্গলমহলে ৪০ হাজার ছেলেমেয়েকে চাকরি করে দিয়েছি। যাতে তাঁরা মূলস্রোতে ফিরে আসেন। এসেছেনও। যা বলেছি তা করে দেখিয়েছি’।