গতকাল বিকেলে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির। এখনও অবধি প্রকাশ্যে দলের কোনও উল্লেখযোগ্য নেতা বা পদাধিকারী প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ না করলেও, বেশকিছু কেন্দ্রে প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বিজেপি কর্মীরাই। পুরুলিয়া, মেদিনীপুরের মত একাধিক জায়গায় প্রকাশ্যে অপছন্দের প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতেও দেখা গিয়েছে বিজেপি কর্মীদের। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও চলছে প্রতিবাদ।
প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিক্ষোভের আঁচ বেশি গনগনে পুরুলিয়ায়। প্রথমত, বাগমুন্ডি আসনটি বিজেপি এবার ছেড়েছে জোটসঙ্গী অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্ট ইউনিয়নকে। যা নিয়ে প্রবল অশান্তি শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরে। কর্মীদের দাবি, বাগমুন্ডিতে বিজেপি প্রার্থী না হলে ‘খেলা হবে।’ গতকালই ঝালদার জারগো মোড়ে বিজেপি কর্মীরা দলীয় পতাকা পুড়িয়ে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপগুলিতেও।
কর্মীদের দাবি, “আজসুর পাকা কলা চিহ্নে কেউ ভোট দেবে না।” বাগমুন্ডির পাশাপাশি পুরুলিয়া এবং জয়পুর কেন্দ্রের প্রার্থী নিয়েও কমবেশি অসন্তোষ চোখে পড়েছে। পুরুলিয়া কেন্দ্রে বিজেপির টিকিট পেয়েছেন শুভেন্দুর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বিদায়ী বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়। জয়পুর কেন্দ্রে টিকিট পেয়েছেন সম্প্রতি ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে বিজেপিতে যাওয়া নরহরি মাহাতো। তাঁদের বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কর্মীরা।
পুরুলিয়ার পাশাপাশি বিক্ষোভের আঁচ দেখা গিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরেও। সবংয়ে প্রার্থী নিয়ে চরম ক্ষোভের মুখে পড়েছে সেখানকার বিজেপি নেতৃত্ব। রবিবার সকাল থেকে প্রার্থী প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন সবংয়ের বিজেপি কর্মীরা। সবং বাজারপাড়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় পথে নেমে প্রার্থী বদলের ডাক দিয়েছেন দলীয় কর্মীরা। এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূল ছেড়ে আসা জেলা পরিষদের সদস্য অমূল্য মাইতি। স্থানীয় বিজেপি নেতা-কর্মীরা অমূল্যবাবুকে প্রার্থী হিসেবে মানতে চাইছেন না। সব মিলিয়ে প্রার্থী ঘোষণার পরদিনই ঘরে-বাইরে প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির।