ভারতে ক্রমশ চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে করোনার নয়া স্ট্রেন। গত কয়েকদিন দেশে ক্রমশ বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। যা সত্যিই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। গত কয়েকদিন লাগাতার তামিলনাড়ু এবং মহারাষ্ট্রের দৈনিক করোনা পরিসংখ্যান চিন্তা বাড়াচ্ছিল। তার সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে পাঞ্জাবের একটা বড় অংশও। লুধিয়ানায় গতকালই ফের চালু হয়েছে নাইট কারফিউ। গতকাল মহারাষ্ট্রে ফের ১০ হাজারের বেশি মানুষ করোনার কবলে পড়েছেন। যার জেরে দেশের সার্বিক ছবিটাও উদ্বেগজনক।
রবিবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৮ হাজার ৭১১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা আগের দিনের থেকে সামান্য বেশি। ফলে এখনও অবধি দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১২ লক্ষ ১০ হাজার ৭৯৯ জন। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আপাতত মোট মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৭৫৬ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১০০ জনের। এই সংখ্যাটা অবশ্য আগের দিনের থেকে সামান্য কম।
তবে পরপর কয়েকদিনের মৃত্যুর পরিসংখ্যান রীতিমতো চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশের জনগণের কাছে। অন্যদিকে, সরকারি রিপোর্ট বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৩৯২ জন। যা দৈনিক আক্রান্তের থেকে বেশ কম। ফলে দেশে মোট অ্যাকটিভ কেস বেড়ে দাঁড়াল ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ৫২৩ জন। গত বেশ কয়েকদিনে সংখ্যাটা নিয়মিত হারে বাড়ছে। যা চিন্তায় রাখছে চিকিৎসকদের। দেশে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন, ১ কোটি ৮ লক্ষ ৬৮ হাজার ৫২০ জন। তবে স্বস্তির খবর, আক্রান্তের সংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশে বাড়ছে টিকাকরণের হারও। ইতিমধ্যেই ২ কোটির বেশি মানুষ করোনার টিকা পেয়ে গিয়েছেন।