প্রায় দোরগোড়ায় ভোটের লড়াই। সময় যতই গড়াচ্ছে ততই, নির্বাচনী হাওয়ায় উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বাংলা। এদিকে শুক্রবারই ২৯১টি বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। অন্যদিকে এবারের নির্বাচনেই ঘাসফুল শিবিরের হাত ধরে নির্বাচনী ময়দানে নামতে চলেছেন টলিপাড়ার একঝাঁক তারকা মুখ। যদিও এবারের নির্বাচনে নন্দীগ্রামেই যে মূল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হতে চলেছে তা প্রায় একবাক্যে স্বীকার করে নিচ্ছে রাজনৈতিক মহল। এই আসন থেকে লড়ার কথা জানিয়েছেন মমতা। এবার তা নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়া বাকযুদ্ধে জড়ালেন অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী নন্দিনী চট্টোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামের পাশাপাশি তৃণমূল নেত্রী টালিগঞ্জ থেকেও লড়তে পারেন বলেও ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন। এদিকে রাজনীতির ময়দানে পালাবদেলের খেলার ডাক দিয়ে ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রাম থেকে বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
যদিও ৭ই মার্চ মোদীর ব্রিগেড শেষ না হওয়া পর্যন্ত গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী তালিকা না বেরোলে কিছুই চূড়ান্ত ভাবে জানা যাবে না বলে মনে করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় শুভেন্দু যদি নন্দীগ্রাম থেকে বিজেপি প্রার্থী হন তবে লড়াই হবে ২০০৭-র জমি আন্দোলনের প্রধান মুখ বনাম অন্যতম মুখের। যদিও আবির চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী নন্দিনী চট্টোপাধ্যায় শুভেন্দুকে বিশেষ পাত্তা দিতে নারাজ।
ভবানীপুরে হারের সম্ভাবনার আঁচ পেয়েই মমতা নন্দীগ্রামমুখী হয়েছেন, এমন বলে অনেকেই ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তোপ দাগতে শুরু করেছেন। এমনকী গত লোকসভা নির্বাচনে রাহুল গান্ধী যেভাবে কংগ্রেসের টিকিটে আমেঠি এবং ওয়েনাড় থেকে লড়াই করেন সেই প্রসঙ্গও তুলে আনেন অনেকে। এবার সেই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই শুভেন্দু সমর্থকদের চাঁচাছোলা ভাষায় কটাক্ষ করলেন নন্দিনী। হাসির ছলে শুভেন্দুর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেন তিনি। পাশাপাশি যাঁরা ভাবছেন যে মমতার বিপরীতে দাঁড়িয়ে জয় পাবেন শুভেন্দু, তাঁদেরকে ‘আস্ত বোকা’ বলেও কটাক্ষ করেন নন্দিনী। আবির-জায়ার সাফ জবাব, মমতার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে কোনও তুলনাই চলে না শুভেন্দু অধিকারীর।