পিছিয়ে থেকেও দাপটের সাথে ৩-১ ব্যবধানে ইংল্যান্ডের কাছ থেকে সিরিজ ছিনিয়ে নিল টিম ইন্ডিয়া। পাশাপাশি, এক ইনিংস এবং ২৫ রানে হারিয়ে সিরিজ জয়ের সঙ্গেই বিরাট কোহলিরা পৌঁছে গেলেন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে। জুন মাসে লর্ডসে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ভারত। দিনের শুরুতে ওয়াশিংটন সুন্দরের সুন্দর ব্যাটিংয়ে ভর করে ১৬০ রানে লিড নেয় ভারত। ৯৬ রানে অপরাজিত থেকে যান ওয়াশিংটন। ভারতীয় স্পিনারদের ঘূর্ণি-ছোবলে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ১৩৫ রানে।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ইনিংসে বল করতে নেমে ফের ৫ উইকেট পেলেন অক্ষর প্যাটেল। এখনও অবধি ৩টি ম্যাচ খেলে চতুর্থ বার ইনিংসে ৫ উইকেট নিলেন তিনি। অক্ষরের সঙ্গে ইংরেজ ব্যাটসম্যানদের ঘুম কেড়ে নিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তিনিও পেলেন ৫ উইকেট। তৃতীয় দিনেই শেষ হল চতুর্থ টেস্ট। দিনের শুরুতে অক্ষর এবং ওয়াশিংটনের দাপটে কোণঠাসা হয়ে যায় ইংরেজশিবির। তাঁদের আউটই করতে পারছিলেন না জেমস অ্যান্ডারসনরা। শেষ অবধি রান আউট হন অক্ষর (৯৭ বলে ৪৩ রান)। ওয়াশিংটন তখন ৯৬ রানে অপরাজিত। সেখানেই থামতে হয় তাঁকে। উল্টো দিকে ব্যাট করতে নামা ইশান্ত শর্মা এবং ওয়াশিংটন সুন্দরকে এক ওভারেই তুলে নেন বেন স্টোকস। দুর্ভাগ্যবশত শতরান অধরাই থেকে যায় ভারতীয় অলরাউন্ডারের।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে আউট হতে থাকেন জ্যাক ক্রলিরা। কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন অধিনায়ক রুট (৭২ বলে ৩০ রান)। তবে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি অশ্বিন। উইকেটের পিছনে ঋষভ পন্থও ছিলেন তৎপর। ভারতীয় স্পিনারদের বিরুদ্ধে কিছুটা সফল ড্যান লরেন্স (৯৫ বলে ৫০ রান)। তবে তাতে হার আটকানো যায়নি। ১৩৫ রানেই ভেঙে পড়ে তাদের ইনিংস। ম্যাচের সেরা হন ঋষভ পন্থ। সিরিজ সেরার শিরোপা ওঠে অশ্বিনের মাথায়।