মাত্র এক সপ্তাহ আগে সেরামের করোনা ভ্যাকসিন দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছেছে। আর এরমধ্যেই ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিড ভ্যাকসিন ফেরাতে চাইছে তারা, এমনই তথ্য সামনে এনেছে এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা৷ দেশের করোনা টিকাকরণ প্রকল্পে অ্যাস্ট্রাজেনকার এই বিশেষ ভ্যাকসিন ব্যবহার আপাতত বন্ধ রাখতে চাইছে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার৷ দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, সে দেশে যে ধরণের করোনার ভ্যারিয়েন্ট দেখা গিয়েছে তার সঙ্গে লড়তে খুব বেশি কাজে আসছে না সিরাম ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিন৷
মানবদেহে পরীক্ষা চালাকালীন দেখা গিয়েছে যে, দক্ষিণ আফ্রিকায় যে ধরণের করোনার প্রকোপ রয়েছে, তার সঙ্গে লড়তে যৎসামান্যই উপকারে আসছে এই ভ্যাকসিন৷ অ্যাস্ট্রাজেনকার পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে যে, দক্ষিণ আফ্রিকায় যে বিশেষ ধরণের করোনার বাড়বাড়ন্ত, তার বিরুদ্ধে খুব হাল্কা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম তাদের ভ্যাকসিন৷ উইটওয়াটারস্র্যান্ডের সাউথ অ্যাফ্রিকান ইউনিভার্সিটি এবং অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির এক গবেষণা থেকে আসা তথ্য বিচার করে মত প্রকাশ করেছে অ্যাস্ট্রাজেনকা৷
অ্যাস্ট্রাজেনকা-অক্সফোর্ড করোনা ভ্যাকসিনকে আপৎকালীন ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও৷ গত সপ্তাহে ১ লক্ষ কোভিড ভ্যাকসিন ডোজ পৌঁছেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়৷ পরবর্তীতেও আরও ৫ লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন পৌঁছবার কথা রয়েছে সেদেশে৷ তবে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার টিকাকরণ কর্মসূচীতে অ্যাস্ট্রাজেনকা ভ্যাকসিনের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ায়, বাড়িত ডোজ সেখানে পাঠানো হবে কিনা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা৷