ভেঙে গেল আইএসএলে এসসি ইস্টবেঙ্গলের সাত ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড। প্রথম লেগে হারের পর দ্বিতীয় লেগেও লোবেরার মুম্বইয়ের কাছে হারল রবি ফাউলারের ছেলেরা। রক্ষণের ভুল এবং একাধিক সুযোগ নষ্টের খেসারত দিতে হল লাল-হলুদকে। মোর্তাজার একমাত্র গোলে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করল মুম্বই।
ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই কিছুটা নড়বড়ে দেখায় লাল-হলুদ ডিফেন্সকে। ৪ মিনিটে লে ফন্ড্রের লম্বা শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। মিনিট দশেক পরে আরও একটি সুযোগ হাতছাড়া করে মুম্বই। ডানপ্রান্ত থেকে ভেসে আসা ক্রস তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হন দেবজিৎ। তাঁর হাত ফসকে বল চলে যায় হুগো বোমাসের কাছে। তবে বড়লোকের বাউন্ডুলে ছেলের মতো তিনি বল উড়িয়ে দেন। অবশেষে ২৭ মিনিটে ইস্ট বেঙ্গল জালে বল জড়াতে সক্ষম হয় মুম্বই। বোমাসের ক্রস থেকে হেডে লক্ষ্যভেদ মৌরতাদা ফলের (১-০)।
প্রথমার্ধে বল পজিশনে টেক্কা দিলেও সেভাবে মুম্বই বক্সে ভীতির সঞ্চার করতে ব্যর্থ ইস্ট বেঙ্গল। তাই বিরতির পর জোড়া পরিবর্তন আনেন লাল-হলুদ কোচ। অঙ্কিত ও সুরচন্দ্রের জায়গায় তিনি ব্যবহার করেন রানা ঘরামি এবং মহম্মদ রফিককে। এই পরিবর্তনের সুবাদে দ্বিতীয়ার্ধে ইতিবাচক ফুটবল খেলার চেষ্টা করে ফাউলারের দল। তবে মুম্বই রক্ষণে ফাটল ধরাতে ব্যর্থ লাল-হলুদ অ্যাটাকাররা। তাই ব্রাইটকে নামিয়ে আক্রমণে লোক বাড়ান ফাউলার। এই পর্বে কর্নার থেকে ভাসানো পিলকিংটনের ক্রসে ফক্সের হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
গত কয়েক ম্যাচে ব্রাইটকে রুখতে ফাউলকে হাতিয়ার করেছিলেন প্রতিপক্ষ ফুটবলাররা। এদিন মুম্বই ডিফেন্ডারও সেই পন্থাই অবলম্বন করলেন। মাঠে নামার পর থেকেই একের পর এক রাফ ট্যাকলের মুখে পড়তে হয় নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ডটিকে। যার প্রতিবাদ জানানোয় উল্টে তাঁকেই রেফারির রোষের মুখে পড়তে হয়। শেষ লগ্নে ফক্সের পরিবর্তে অ্যারনকে নামিয়ে গোলশোধের মরিয়া চেষ্টা চালায় কলকাতার দলটি। ৮৮ মিনিটে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন হরমনপ্রীত। অ্যারনের সেন্টার থেকে হেডে গোল করা উচিত ছিল তাঁর। সেই সঙ্গে শেষ হয় ইস্ট বেঙ্গলের পয়েন্ট পাওয়ার আশা।