ভোটের আগে দলীয় কোন্দলের জেরে রীতিমত অপ্রীতিকর অবস্থা রাজ্য বিজেপিতে। অবিরাম ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনিতে একেবারে মুখরিত বিজেপি পূর্ব বর্ধমান জেলা কার্যালয়। অথচ দলের জেলা নেতৃত্বের একাংশ দরজা এঁটে ঠায় বসে রইলেন। কারণ স্লোগান দেওয়া কর্মীদের হাতের বাঁশ। তাঁরাই গোটা অফিস ঘিরে রেখেছেন। বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী সমর্থকদের হামলায় জেলা কার্যালয়ে একেবারে তথৈবচ অবস্থা।
বাইরে তাঁদের হুমকি চলছে। ভিতরে নেতারা কাঁপছেন। ফোন ধরছেন না। ফলে পরিস্থিতি আরও সরগরম হয়ে উঠেছে। বিক্ষুব্ধ নেতা কর্মীদের স্পষ্ট অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনে বিরাট জয়ের পর থেকেই বর্ধমান দুর্গাপুরের সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া একেবারে নিখোঁজ। বিজেপি জেলা সভাপতির ভূমিকায় সেখানে দল ডুবতে বসেছে।
বিজেপি পূর্ব বর্ধমান জেলার কার্যালয় ঘেরাও হবে, এই ঘোষণা আগেই করা হয়েছিল। সেই মতো বিক্ষুব্ধ সমর্থকরা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জড়ো হন বর্ধমানে। অভিযোগ, সাংসদ আলুওয়ালিয়া নিখোঁজ, আর জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দীর মদতে তৃণমূলীরা বিজেপি অফিসের দখল নিয়েছে। তাই অবিলম্বে জেলা সভাপতি পদে নতুন কাউকে আনতে হবে। মূলত এই দাবিতেই বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা বাঁশ লাঠি নিয়ে ঘেরাও করতেই জিটি রোডের উপর বিজেপি কার্যালয়ের সামনে তৈরি হয় উত্তেজনা। আর দলীয় অফিসের মূল প্রবেশ দ্বারের সামনে শুরু হয় বিক্ষোভ।
বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের দাবি, জেলা সভাপতি পরিবর্তন না হলে জেলার কোনও আসনেই বিধানসভা নির্বাচনে জয় সম্ভব নয়। লোকসভার মত ফলাফল আশা করাই উচিত হবে না দলের। আরও অভিযোগ, বিজেপি বর্তমান জেলা সভাপতি দুর্নীতিতে জড়িত। জেলা কার্যালয়ে মদ নিয়ে বেলেল্লাপনা চলে। সব জানানো হয়েছে রাজ্য দফতরে। কিন্তু খোদ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জেনেও কোনও পদক্ষেপ নেননি। আর জেলা বিজেপি সভাপতি তাঁর দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছে। বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা জেলা কার্যালয়ের দিকে তেড়ে যান বাঁশ নিয়ে। পরে গিয়ে এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি আয়ত্তে এনে পুলিশ।