আইএসএলের প্রথম ডার্বি জিতে ইতিহাসে জায়গা করে নিল এটিকে মোহন বাগান। এই জয়ের নেপথ্য কারিগর স্প্যানিশ কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। অচেনা দলের বিরুদ্ধে তাঁর স্ট্র্যাটেজিকে ফুল মার্কস দিতে বাধ্য বিশেষজ্ঞরা। সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের হয়ে স্কোরশিটে নাম তুললেন রয় কৃষ্ণা ও মনবীর সিং। পক্ষান্তরে প্রথমার্ধে ভালো খেলেও যোগ্য স্ট্রাইকারের অভাবে ভুগতে হল রবি ফাউলারের ইস্ট বেঙ্গলকে।
শুক্রবার দ্বিতীয়ার্ধে হওয়া দু’টি গোলের জন্যই দায় এড়াতে পারেন না লাল-হলুদ ডিফেন্ডাররা। পরপর দু’টি ম্যাচে জিতে লিগ তালিকার শীর্ষে এখন হাবাস-ব্রিগেডই।
বলবন্ত-পিলকিংটনরা অনেক বেশি পাস খেলেছেন। বিপক্ষে দুই বিপজ্জনক অ্যাটাকার থাকলেও প্রথমার্ধে সংঘবদ্ধ ফুটবল উপহার দিয়েছেন মাঘোমারা। এটিকে মোহন বাগানের কোচ হাবাস টিপিক্যাল ৩-৫-২ ফর্মেশন দল সাজালেন। কিন্তু লাল-হলুদকে ভাঙতে প্রেসিং ফুটবলে তিনি জোর দেননি। প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষকে মেপে নেওয়াই ছিল তাঁর লক্ষ্য। বিরতির পর খোলস ছাড়ে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। তবে ৪৯ মিনিটে রয় কৃষ্ণাকে গোলটা কার্যত উপহার দিলেন লাল-হলুদ ডিফেন্ডার স্কট নেভিল। টপ অব দ্য বক্স থেকে কৃষ্ণাকে শট নেওয়ার জায়গা দিয়েই তিনি ভুল করেছেন। শেষ মুহূর্তে বলের উপর থেকে চোখ সরিয়ে নেন নেভিল। বাগানের বিদেশি স্ট্রাইকারের বাঁ পায়ের শট সহজেই জালে জড়ায় (১-০)।
বিরতির পর রক্ষণে রানা ঘরামির বদলে অভিষেক আম্বেকরকে নামান ফাউলার। ছন্দে না থাকা স্ট্রাইকার বলবন্তের জায়গায় নামেন রফিক। কিন্তু লাল-হলুদের যোগ্য ফিনিশার নেই। বলবন্ত চেষ্টা করেও ব্যর্থ। তারপর বক্সের উপর থেকে নেওয়া মাঘোমার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৮৩ মিনিটে প্রায় ২০ গজ দূর থেকে নেওয়া পিলকিংটনের শট বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে সেভ করেন অরিন্দম। ৮৬ মিনিটে মোহন বাগানের দ্বিতীয় গোল পরিবর্ত মনবীর সিংয়ের। ডানদিক থেকে গতি বাড়িয়ে তিনি প্রথমে টপকে যান নারায়ণকে। তারপর অভিষেক আম্বেকরকে আউটসাইড ডজ করে গোলমুখ খুলে বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে জাল কাঁপান (২-০)।