মোদী সরকার তথা বিজেপির আমলে দলিত নিধন বেড়েছে দেশে। উন্নাও-এর ঘটনার পর প্রায় ৩০ জন দলিত আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। শুক্রবার তৃণমূল ভবনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে এমনই অভিযোগ করেন দলীয় সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল। তিনি বলেন, গণপিটুনি বিরোধী বিল এনেছে আমাদের রাজ্য। কিন্তু কেন্দ্র এ ব্যাপারে কিছুই করেনি। এর থেকেই বোঝা যায়, ওরা বাংলায় কী চায়। তাঁর অভিযোগ, ‘২০১৮ সালের পর থেকে দলিতদের ওপর অত্যাচার বেড়েছে। তফসিলি জাতির ওপর অপরাধ ২৬ শতাংশ বেড়েছে।’
গতকাল সাংবাদিকদের কাছে প্রতিমা বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশে ২৫.৫ শতাংশ (১১ হাজার ৮২৯টি মামলা–সহ) তফসিলি জাতির বিরুদ্ধে সর্বাধিক সংখ্যক অপরাধ হয়েছে। রাজস্থানে ১৪.৮ শতাংশ, বিহারে ১৪.২ শতাংশ ও বাংলায় ০.৩ শতাংশ। তফসিলি উপজাতিদের ওপর অপরাধের হার মধ্যপ্রদেশে ২৩.৩ শতাংশ। রাজস্থানে ২১.৮ শতাংশ। উত্তরপ্রদেশে ৮.৭ শতাংশ। বাংলায় ১.২ শতাংশ। বিজেপি শাসিত রাজ্যে মহিলারা কীভাবে অত্যাচারিত হচ্ছে, সবাই দেখছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
প্রতিমা বলেন, ‘২০১১ থেকে ২০২০ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৬৯টি প্রকল্পের মাধ্যমে বহু উন্নয়নের কাজ করেছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও শিল্পের উন্নয়ন হয়েছে। সমব্যথী প্রকল্পের মাধ্যমে যাঁরা আপনজনকে হারিয়েছেন, তাঁদের সমবেদনা জানানোর জন্য সরকার কাজ করে চলেছে। মতুয়াদের বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বীরসা মুন্ডা বিশ্ববিদ্যালয়, বিআর আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়, ওবিসিদের জন্য আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয় করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক সাহায্য করা হচ্ছে। ৯ লক্ষ তফসিলি জাতি-উপজাতিদের সার্টিফিকেট অনলাইনে দেওয়া হয়েছে।’