হার দিয়েই অস্ট্রেলিয়া সফর শুরু করল টিম ইন্ডিয়া। আজ প্রথম এক দিনের ম্যাচেই ৬৬ রানের ব্যবধানে হারল বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারত। এদিন টস হেরে ফিল্ডিং করতে নামে ভারত। প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া করেছিল ৩৭৪ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারতকে থামতে হল ৩০৮ রানে।
অস্ট্রেলিয়ার ২ ওপেনার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ (১২৪ বলে ১১৪ রান) এবং ডেভিড ওয়ার্নার (৭৬ বলে ৬৯ রান) শুরুতেই ম্যাচ নিয়ে চলে যান নিজেদের দিকে। তাঁদের ১৫৬ রানের পার্টনারশিপের ধাক্কা কোনও ভাবেই সামাল দিতে পারল না ভারতীয় বোলাররা। শুক্রবার ফিঞ্চ এক দিনের ক্রিকেটে ৫ হাজার রানের মাইলফলক পার করেন। ওয়ার্নার ফিরলে সিডনির মাঠে ঝড় তোলেন স্টিভ স্মিথ (৬৬ বলে ১০৫ রান)। ঝড় তোলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও (১৯ বলে ৪৫ রান)। জোড়া শতরানে ভর করে অস্ট্রেলিয়া তোলে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৭৪ রান।
অন্যদিকে, ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালই করেছিলেন ২ ভারতীয় ওপেনার শিখর ধাওয়ান (৮৬ বলে ৭৪ রান) এবং ময়াঙ্ক আগরওয়াল (১৮ বলে ২২ রান)। ময়াঙ্ক ফিরতে বিরাট (২১ বলে ২১ রান) দায়িত্ব তুলে নিয়েছিলেন নিজের কাঁধে। ১ রানের মাথায় তাঁর ক্যাচ ফেলেন অ্যাডাম জাম্পা। জীবন পেয়ে বড় রান তোলার দিকেই এগোচ্ছিলেন বিরাট, কিন্তু সিডনির মাঠে ভয়ঙ্কর ফর্মে ছিলেন জশ হ্যাজেলউড। তাঁর বলেই আউট হন ভারত অধিনায়ক।
১০ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন হ্যাজেলউড। ১৫ ওভারের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় ভারত। সেখান থেকে হার্দিক পাণ্ড্য (৭৬ বলে ৯০ রান) এবং শিখরের ব্যাটে ভর করে আশার আলো দেখছিল টিম ইন্ডিয়া। হার্দিকের ইনিংস মাঝের ওভারে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া শিবিরেও। কিন্তু সেই পার্টনারশিপ ভাঙার দায়িত্ব নেন জাম্পা। শিখরকে ফেরান তিনি। এর পর তুলে নেন হার্দিকের উইকেটও। ১০ ওভার বল করে জাম্পা নেন ৪ উইকেট, ৫৪ রান দিয়ে।
৬৬ রানের এই হারা ম্যাচে ভারতের প্রাপ্তি এক মাত্র ব্যাটসম্যান হার্দিক। তবে তিনি যে বল করার জন্য তৈরি নন তা মেনে নিলেন বিরাটও। ম্যাচ শেষে মজা করে বিরাট বলেন, “পরের ম্যাচে হয়তো দেখবেন আমি বল করছি ফিঞ্চকে।” তবে এই হারের জন্য কোনো অজুহাত দিতে নারাজ বিরাট। একইসঙ্গে স্বীকার করেছেন, পরের ম্যাচে বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে আরও উন্নতি করতে হবে। নইলে জেতা মুশকিল!