নির্বাচনী লড়াইয়ে পরাজিত হয়েছেন। রেকর্ড সংখ্যক পপুলার ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছুতেই সেই ফলাফল মানতে চাইছিলেন না। তাঁর দাবি ছিল, ভোটে কারচুপি করে জিতেছেন বাইডেন। ‘আসল’ ভোটে জয় তাঁরই হয়েছে। গত ৩ সপ্তাহ ধরে এই নিয়ে মার্কিন মুলুকে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। শেষপর্যন্ত সোমবার একপ্রকার বাধ্য হয়েই হাল ছাড়লেন ট্রাম্প। জানিয়ে দিলেন, বাইডেনের নতুন দলকে ক্ষমতা হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু হলে তাঁর কোনও আপত্তি নেই।
দলকে একটি চিঠি লিখে জিএসএ আধিকারিক জানান, কোনওরকম রাজনৈতিক চাপের কাছে তিনি মাথা নত করেননি। এতদিন ক্ষমতা হস্তান্তরে অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত তিনি ব্যক্তিগতভাবে নিয়েছিলেন। এবং এখনই যে এই প্রক্রিয়া শুরুর সঠিক সময়, সেটাও তিনি ব্যক্তিগত স্তরে উপলব্ধি করেছেন। মার্ফি বাইডেন প্রশাসনকে ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি হয়ে যাওয়ার অর্থ এবার থেকে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়ায় বাইডেনের দল সরকারের কাছে অর্থ সাহায্য পাবে এবং সরকারি আধিকারিকদের সহযোগিতাও পাবে। মার্ফির এই চিঠির পরই এক টুইটে ট্রাম্প জানিয়ে দেন, ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রাথমিক প্রক্রিয়া যদি শুরু হয় তাতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই।
নির্বাচনের ফলাফলের পর মার্কিন মুলুকে ট্রাম্পের একগুয়েমি নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়েছে। বিডেন তাঁকে মার্কিন ইতিহাসের ‘নিকৃষ্টতম’ প্রেসিডেন্ট বলেও তোপ দেগেছেন। ট্রাম্প যে আইনি লড়াইয়ের হুমকি দিয়েছিলেন তাতেও বড় বেশি সাফল্য আসেনি। দু-একটি রাজ্যে ভোট দ্বিতীয়বার গণনা হলে তাতেও সাফল্য আসেনি। একে একে তাঁর নিজের দল রিপাবলিকান সদস্যরাও সঙ্গ ছাড়ছিলেন। এসবের মধ্যেই সোমবার আরও বড় ধাক্কা খান ট্রাম্প। হঠাতই বিডেনের দলকে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়ায় সাহায্য করার কথা ঘোষণা করেন মার্কিন জেনারেল সার্ভিসেস অ্যাডমিনিস্ট্রেটর এমিলি মার্ফি। এবং জানিয়ে দেন, ট্রাম্প প্রশাসনও নাকি ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি। অথচ, এই মার্ফিই এতদিন ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি ছিলেন না।