করোনা আবহের শুরু থেকেই শহরের রাস্তায় রাস্তায় সচেতনতা প্রচারে অগ্রণী ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছিল কলকাতা পুলিশকে। তবে বাহিনীর মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর প্রথম দিকে পরিষেবা নিয়ে সমস্যা হলেও এখন অনেকটাই সামলানো গিয়েছে। উপরন্তু সুস্থ হয়ে ওঠা সেই পুলিশকর্মীরা এখন প্লাজমা দান করে সামাজিক কর্তব্য পালনেও এগিয়ে আসছেন। যার সাম্প্রতিক নজির গার্ডেনরিচ থানার সাব ইনস্পেক্টর রবসন চৌধুরী।
লালবাজারের করোনা ওয়েলফেয়ার সেল থেকে ফোন পাওয়ার পরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক ইউনিট প্লাজমা দান করে আসেন ওই অফিসার। সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজে প্লাজমা চেয়ে অনুরোধ করেছিলেন এক ব্যক্তি। যা দেখে করোনা ওয়েলফেয়ার সেল ভবানীপুর থানার অফিসার প্রতীক চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারপরই বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড আক্রান্ত হয়ে ভর্তি বৃদ্ধাকে প্লাজমা দিয়ে বাঁচান সেই অফিসার।
লালবাজার সূত্রের খবর, শুক্রবার পর্যন্ত করোনা ওয়েলফেয়ার সেলের মাধ্যমে গত কয়েক মাসে কোভিড থেকে সেরে ওঠা ৭২ জন কর্মী ও অফিসার প্লাজমা দান করেছেন। প্রয়োজনে বাহিনী থেকে এই প্লাজমা দিতে আরও অনেকে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে লালবাজার। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “করোনা চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপির জন্য বাহিনীর সুস্থ হয়ে ওঠা সদস্যেরা তা দান করতে পিছপা হবেন না। সব রকম ভাবে মানুষের পাশে থাকব আমরা।”
তবে কী ভাবে পুলিশের থেকে প্লাজমা চেয়ে যোগাযোগ করা যাবে? লালবাজার জানাচ্ছে, কলকাতা পুলিশের সোশ্যাল সাইটে প্লাজমা চেয়ে রোগীর আত্মীয়েরা আবেদন করছেন। তখন সেলের তরফে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্লাজমা দিতে ইচ্ছুক পুলিশের বিবরণ পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আবার রাজ্য সরকার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং মানিকতলা সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাঙ্কে প্লাজমা ব্যাঙ্ক চালু করেছে। সেখান থেকেও প্লাজমা চেয়ে লালবাজারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা যাচ্ছে। এভাবে নাগরিকদের সাহায্যে এগিয়ে আসায় কলকাতা পুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা।